ঢাকা: আহারে মাইলস্টোন! মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠেছে মাইলস্টোন! মৃত্যু সংখ্যা ৩০-৩৫ নয়, মৃত্যু সংখ্যা ২৫০ পার করে গিয়েছে।
লাশের পর লাশ। সব গুম! ছাত্রদের সাথে সাংবাদিকদের কথা বলতে বাধা প্রদান করছে সেনাবাহিনী। যাতে কোনো তথ্য দিতে না পারে তারা। সঠিক লাশ সংখ্যা গায়েব!
এটা নিছক একটি দুর্ঘটনা নয়। ভয়াবহ ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ শিক্ষার্থীকে দ্রুত উদ্ধার করা শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী মারা গেছেন। সোমবার রাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের পর নিজেই ঠিকঠাকমতো বের হতে পারেননি ওই শিক্ষিকা। ঘটনাস্থলে তাঁর শরীরের একটি অংশ দগ্ধ হয়।
পরে ৪৬ বছর বয়সী মেহেরীনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেরীন চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
মাইলস্টোন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকা গভীর রাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে এই বিক্ষোভ শুরু করেন, যা আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোর প্রায় সোয়া ৪টা পর্যন্ত চলছিল।
শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত সব পুরনো প্লেন বাতিল এবং নিহত শিক্ষার্থীদের মরদেহের সঠিক সংখ্যা ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
লাশের তথ্য গোপন করার কারণ কী? কেন এইসব ষড়যন্ত্র সরকারের? ঈ মতলব তাদের?
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী জানান, “আমরা নিহতের মরদেহের সঠিক সংখ্যা জানি না। রাত ২টায় কলেজে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢুকে কিছুক্ষণ থেকে আবার বের হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা কী করছে বুঝতে পারছি না। আমাদের কিংবা আমাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরও যেতে দেওয়া হচ্ছে না সেখানে। তাই আমরা বিক্ষোভ করছি। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস দেখাচ্ছি। বিচারহীনতা, অবহেলা ও দমননীতির বিরুদ্ধে আমাদের দাবি স্পষ্ট, আমাদের অবস্থান অটল। আমরা কালকেও দিনভর আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ।
আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ।
শিক্ষকদের গায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাত তোলার জঘন্য ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।
নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করা।
বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিবর্তন করে আরও মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করা।
আসলে এই যে বসে আছেন একজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, তিনি এক ঢিলে কতগুলো পাখি মারলেন?
মাইলস্টোন এর ঘটনা বহু প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। বহু সন্দেহ!
গোপালগঞ্জে বর্বর গণহত্যার পর কথিত সেনাবাহিনীর যে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছিল, তা উদ্ধারের জন্য তাদের উদ্ধার তৎপরতা দেখাতেই একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে?
পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষায় চীনকে ফেলে দিতেই কি চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করলো? আমেরিকার মনোস্কামনা পূরণ?
গোপালগঞ্জের গণহত্যার থেকে নজর সরাতে এই মাইলস্টোন কাণ্ড?