ঢাকা: যেনতেন সরকার গঠন করতে চায় বিএনপি। তাই তো জুলাই ঘোষণাপত্র তারা ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার করে গেছে। একবার বসে গেলে ভার মে জায়ে সনদ! আর মুক্তিযুদ্ধের তো ধারেকাছেও নেই এরা।

সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিকে ‘নির্বাচন পণ্ডের কৌশল’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেছেন, “একটি দল লেগেছে পিআর পদ্ধতি নিয়ে। এই পিআর পদ্ধতির উছিলা দিয়ে নির্বাচন হতে দেবে না।

আরে ভাই পিআর পদ্ধতির কথা এত বছর নির্বাচন হল বাংলাদেশে, কখনও এই কথা বলেন নাই। এই ট্যাবলেট কে খাওয়াইল আপনাদেরকে?

“বাংলাদেশের লোক এখন পর্যন্ত ভোট…যেমন আমি আমার কথা বলি, ১৭/১৮ বছর ভোট না দিয়ে আমি ভোট দিতে ভুলে গেছি। আবার যারা নতুন প্রজন্ম তারা ভোট কীভাবে দিতে হয় সেটা জানেই না। এর মধ্যে নিয়ে আসছেন আবার পিআর পদ্ধতি।”

তার কথায়, “আগে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে অভ্যস্ত হোক। গণতন্ত্রে অভ্যস্ত হোক, ভোটের কথা বলতে শিখুক।”

গণতন্ত্র বলতে কিছু আছে এখন বাংলাদেশে? এর আগে গণতন্ত্রের কী বুঝিয়েছিলো বিএনপি?

শনিবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভায় কথা বলছিলেন বিএনপি নেতা।

সে সময় পি আর নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, “এই পদ্ধতি দিয়ে আপনারা কী করতে চান? নির্বাচনকে পণ্ড করতে চান, দেশে একটা অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে চান। এ দেশের জনগণ এটা কখনো মেনে নেবে না।”

বলেন, “আরও কিছু দল আছে বাংলাদেশে, রাজনৈতিক দল আছে, তারাও চায় না নির্বাচনটা হোক। তারা নির্বাচনের কথা মুখে বলে কিন্তু অন্তরে তারা নির্বাচনের কথা বলে না। কারণ তাদের একটা ধারণা জন্মেছে, নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।

“আমরা কিন্তু বলি নাই…আমরা শুধু বলেছি, গত ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। বিএনপির বহু লোক প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছে।

এবারও জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে প্রায় ৪২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছে। তারপরও আমরা কিন্তু বলি নাই, আমরা ক্ষমতায় গেছি কিংবা যাব। আমরা ভোটের জন্য লড়াই করছি।

এদেশের মানুষের গণতন্ত্র এর জন্য লড়াই করছি, কথা বলার অধিকারের জন্য লড়াই করছি। কিন্তু তারা (কিছু রাজনৈতিক দল) ভেবে নিয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। সুতরাং নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *