ঢাকা: বিএনপি জামাত শিবির মানেই জঙ্গি সন্ত্রাসী রাজাকারের দোসর।

তারেক রহমান বা মির্জা ফখরুল তাঁরা তো নতুন বিএনপি করছেন, তাঁরা জানেন না তাঁদের নিজের দলের গতিপ্রকৃতি!

তাই এখন পালাবার পথ না পেয়ে ফখরুল সাহেব বলছেন, বিএনপি এই সন্ত্রাস সমর্থন করে না!

সমর্থন করে‌ না তো সন্ত্রাস হচ্ছে কেন? করছে কে?

ইতিহাসে কি এমন কোন রাজনৈতিক দল খুজে পাওয়া যাবে যারা মাত্র একবছরে প্রায় দেড়শো খুন করেছে?

সংখ্যাটা এর বেশিও হতে পারে।

কোন ধর্মীয় দাঙ্গা নয়,জাতিগত দাঙ্গা নয়,রাজনীতিক দাঙ্গাও নয়। প্রতিটি সুনির্দিষ্ট টার্গেটকৃত হত্যাকান্ড। কে করছে? বিএনপি জামাত তো?

মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে বাংলাদেশে। ৫ আগস্টের পর দেশ জাহান্নামে গেছে। শেখ হাসিনা দেশকে একটা স্থিতীশীল অবস্থায় নিয়ে এসেছিলেন। সেই‌ জায়গা থেকে জঙ্গীদল টেনে হিঁচড়ে নামিয়েছে। আর লাশের উপর নৃত্য করছে।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ব্যবসায়ীকে যুবদল পাথর দিয়ে থেঁতলে, কুপিয়ে হত্যা করেছে।

এই ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুনলে মনে হবে তিনি আকাশ থেকে পড়েছেন! দেখুন তিনি কী বললেন-

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই পৈশাচিক ঘটনা কেবল একটি জীবনহানিই নয়, এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর হতাশার বহিঃপ্রকাশ।’

‘আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস ও বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক, তার স্থান কখনোই আইন ও ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।’

‘জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উল্লিখিত নির্মম ঘটনাটি দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।

প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত পৈশাচিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করবে’।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, উল্লিখিত ঘটনাটির অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।’

গরু মেরে জুতা দান করা মির্জা ফখরুল, তারেক রহমানের আসলে এ ছাড়া বলার মতো আর কিছু নেই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *