ঢাকা: বিগত এক বছর ধরে দেশে জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও দুবৃত্ত শাসকদের উত্থানের সাথে সাথে দেশব্যাপী মব সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ সহ নানা অন্যায় অপরাধমূল কর্মকান্ডের মহোৎসব চলছে।
‘মব সন্ত্রাসের সরকার’ এই জঙ্গী ইউনুস সরকার। সুতরাং তাদের সময়ে মব সন্ত্রাস না হলে সরকারের মান- ইজ্জত থাকে বলুন! স্বীকার করতে বাধ্য হলেন অকর্মণ্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে: জে জাহাঙ্গীর যে দেশে এখনও মব সন্ত্রাস চলছে।
তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসে মব জাস্টিস বললেন। তাঁর বলা উচিৎ ছিলো মব সন্ত্রাস। তিনি উল্টে পাল্টে ভবের পক্ষেই কথা বলেছেন!
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ঢাকার আশপাশে মব জাস্টিস কমলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনো মব জাস্টিস চলছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২তম সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা ১৫ হাজার ৮৫১ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দিয়েছি। বিজিবিতে ৪ হাজার ৪৬৯ জন, আনসারে ৫ হাজার ৫৫১ জন, কারা ১ হাজার ৫৫৮ জন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ২০৮ জন নিয়োগ দিয়েছি।
এগুলো সব নতুন নিয়োগ। এসব পদের মধ্যে কিছু সৃজিত পদ ও কিছু শূন্যপদ। পুলিশের এসব নিয়োগ সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত। এ ছাড়া আনসার ও বিজিবির ক্ষেত্রেও কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই মব জাস্টিসটা যতটা কমিয়ে আনা যায়। কয়েকদিন আগে রংপুরে একটা মব জাস্টিস হয়েছে। ঢাকায় মব জাস্টিস কমলেও আশপাশে কিন্তু মব জাস্টিস কিছু হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এটা যতটা কমিয়ে আনা যায়।
১৫ আগস্ট শোক দিবসে ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না আমি জানি না। কিন্তু আমাদের নির্দেশনা ছিল কোনা অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা।
উপদেষ্টা কিছুই জানেন না। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আজিজুর রিকশাচালক কী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছিলেন যে তাকে ধরে জেলে দেয়া হলো?
এইসব অজুহাত কথা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বহু বলেছেন।
মাইটিভির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বাদী বলেছেন এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নেই। তবুও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে কোর্টকে জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের অ্যারেস্ট করা অবৈধ হলে কোর্ট তাকে ছেড়ে দেবে। কোর্ট কারো কথা শোনে না। তারা স্বাধীন।