ঢাকা: জুলাই আগস্টের গণহত্যা, পুলিশ হত্যা, সাধারণ ছাত্র জনতার উপর বর্বরতার মাস্টার মাইন্ড জঙ্গী মাহফুজ।

বাংলাদেশকে বেশি কষ্ট করতে হবে না দুর্নীতিবাজ, শয়তান ধরার জন্য। কারণ শয়তান নিজে নিজেই নিজেদের লেজ কামড়ে ধরে জানিয়ে দিচ্ছে যে কারা কারা শয়তান।

দেশব্যাপী এনসিপি নেতা আর সমন্বয়কদের লাগামহীন চাঁদাবাজির ঘটনার রেশ কাটেনি এখনো। এর মধ্যেই এবার জঙ্গী উপদেষ্টা মাহফুজের টাকা পাচার তথ্য ফাঁস।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সাড়ে ছয় কোটি টাকার একটি অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন।

AUSTRAC (Australian Transaction Reports and Analysis Centre) – অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা – গত ২৪ জুলাই একটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উৎস থেকে মাহফুজের ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টে (Commonwealth Bank of Australia) এই বিপুল অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।

জানা গেছে, মাহফুজের বড় ভাই বর্তমানে সিডনিতে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং পার্টটাইম ট্যাক্সি চালক হিসেবে কর্মরত।

গত ৯ মাস ধরে দেশীয় বহু প্রকল্পের ফাইল তদবির ও লবিংয়ের কমিশন হিসেবে পাওয়া অর্থ মাহফুজ অস্ট্রেলিয়ায় তার ভাইয়ের একাউন্টে পাঠাচ্ছিলেন।

লেনদেনটি হঠাৎ নজরে আসার পর ব্যাংক একাউন্টটি জব্দ করা হয়েছে, তদন্ত চলছে।

দুর্নীতিগ্রস্ত কারা দেখছেন? যারা আন্দোলন করেছে, সেটা নাকি ছাত্র আন্দোলন ছিলো। কত আবেগে ভেসে গিয়েছে তখন কত নারীবাদী, লেখক, প্রগতিশীলরা!

অথচ….

পুরো সমন্বয়ক-নিয়ন্ত্রিত কাঠামোতেই দুর্নীতির শিকড় গেঁথে গেছে। এদের প্রত্যেকের আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক হিসাব রাষ্ট্রীয় পর্যবেক্ষণের আওতায় আনার দাবি উঠেছে।

এইদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তো জঙ্গী মাহফুজের মাথা নষ্ট হয়ে যাবার পালা এসেছে।

ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রাতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন!

তাঁর ফেসবুক পোস্ট হুল্লোড় ফেলেছে।
ফেসবুকে পোস্ট করে মাহফুজ লিখেছেন – “একটা নতুন দলের কয়েকজন মহারথী দূর্নীতিতে জড়িত!” তিনি এটাও বলেছেন – “একটা সার্কেলের প্রায় সবাই দূর্নীতিগ্রস্ত!”

এইসব তিনি কেন বলেছেন জানেন?

কারণ এখন নাকি অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে। তাই অন্যরাও মাফফুজের লেজ কাটার চেষ্টা করছে!

লেজ কাটার ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে মাহফুজ সব‌ বলে দিচ্ছেন!

অর্থাৎ এরা নিজেরাই এখন মারামারি করছে- কে ভালো আর কে খারাপ! তিনি অবশ্য নিজেকে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ দাবি করেছেন।

তা জনাব মাহফুজ আলম, আপনি যদি জানেন নতুন দলের কয়েকজন মহারথী ভয়ংকর দুর্নীতিগ্রস্ত। তাহলে এতদিন কেন এদের প্রশ্রয় দিয়েছেন?

প্রশ্রয় দিয়েছেন, এবং নিজেদের পকেট মোটা করেছেন দেশ বিক্রি করে!

খড়গোশের মতো এরা ভেবেছিলো দেখা যাচ্ছে না শরীর, অথচ পেছনের দিক যে দেখছে সবাই সেটা হুঁশ ছিলো না।

হাজার কোটি টাকার চেয়ে ‘ইজ্জত ও রাষ্ট্রের আমানত’ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, “সবার এখন গুজববাজ আর সুবিধাবাদী বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।”

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফেইসবুক পোস্ট এক দফা সম্পাদনাও করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে দায়িত্ব পাওয়া মাহফুজ।

সোমবার রাত ২টা ৫১ মিনিটে ফেইসবুকে দেওয়ার ওই পোস্টে শুরুতে তিনি লিখেছিলেন “আজকাল অনেকের লেজকাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। নূতন একটি দলের কয়েকজন মহারথী এতে জড়িত। সবই প্রকাশ পাবে। একটা সার্কেলে প্রায় সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত কিন্তু একজন কোন টাকা ধরছেন না, এটা কার সহ্য হবে!”

তিনি এও লিখেছিলেন, “আমার নিকৃষ্ট শত্রুরাও গত ১২ মাসে আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ করলেও দুর্নীতি বা আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ করেনি। একটি নূতন দলের মহারথীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে তাতে।”

পরে রাত ৪টা ২৮ মিনিটে তা সংশোধন করে ‘একটি নূতন দলের’ বদলে ‘বিভিন্ন দলের মহারথীদের’ কথা বলেন মাহফুজ।

তিনি লেখেন, “আজকাল অনেকের লেজকাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী এতে জড়িত। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।

“পুনশ্চঃ আমার নিকৃষ্ট শত্রুরাও গত ১২ মাসে আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ করলেও দুর্নীতি বা আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ করেনি। বিভিন্ন দলের মহারথীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে তাতে।”

পোস্ট সংশোধনের একটি ব্যাখ্যাও সঙ্গে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা। লিখেছেন, “কয়েকটা বাক্য নিয়ে অযথাই জলঘোলা হচ্ছে, তাই এডিট করে দিলাম। জুলাই কতিপয় লোকের কাছে পলিটিকাল মবিলিটির ল্যডার। একটা না কয়েকটা দলের মহারথীরাই আমার/ আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন।”

মাহফুজের ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক প্রশ্ন করেছেন– “’নূতন একটি দলের মহারথীরা’… কি এক বিষম সংকটে দেশ!!”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুল্লা হিল বাকী লিখেছেন, “নতুন দল বলতে কারা? দলতো দুইটা এখন আলোচনায়। এনসিপিও আছে আপ-বাংলাদেশও আছে। নিজের ভাই-ব্রাদারদের দলের কারো বিরুদ্ধে কেউ বুঝেশুনে এমন স্টেটমেন্টতো দেয় না, দেওয়ার কথাও না!

আপ-বাংলাদেশের কাউরে বুঝাইছেন নাকি কিছু? নাকি অন্য কেউ?”

মন্তেব্যের ঘরেই উত্তর দিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি লিখেছেন, “জুলাইয়ের পক্ষের অনেকের দুর্নীতির খবর পাচ্ছি। এজন্য সার্কেল বলসি। কিন্তু, একটা ছোট অংশ বাদে জুলাইয়ের সব কর্মী এখনো আগের অবস্থায় আছে। দল শুধু এনসিপি না, আরো আছে। এনসিপির চেয়ে নূতন দল বা কিছু প্লাটফর্মের আরো বেশি লোক রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গে আছে। শুধু এনসিপিকে দায় দেয়া হচ্ছে। আর, নূতন দলের কিছু মহারথী রাজনীতির হিস্যার জন্য সব করতে রাজি। কিন্তু, তারাও জানেন আমি কতটা ক্লিন হ্যান্ডস রেখে চলছি।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *