যশোর: সব বন্ধ হবে, গান, বাজনা, আর্ট, নাচ, সিনেমা, অভিনয় সব বন্ধ হবে। কারণ বাংলাদেশে তালিবানি শাসন শুরু হচ্ছে।
কোনো আনন্দ থাকবে না, নারীরা ঘরবন্দী হবে, বোরখা পরতেই হবে, নারীদের পড়াশোনা বন্ধ হবে এইসব জারি হতে আর খুব দেরি নেই।
দেশে অভিনয় শিল্পীদের অবস্থা ইতিমধ্যেই অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছে। কেউ কেউ ভারতে গিয়ে অভিনয় করছেন। কেউ অন্যান্য দেশে।
কারণ অভিনয় বন্ধ করে একে একে তৈরি হবে মাদ্রাসা। ধর্ম চর্চা করলে বলা হচ্ছে ডাকাত খুনী হয় না। অথচ যারা এখন খুন করছে তারা কি নামাজ কালাম আদায় করে না? তাহলে তো তারাই ইসলামের শত্রু।
যশোরে অবস্থিত মণিহার সিনেমা হলকে বলা হয় দেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল। একসময় এই হলে সিনেমা দেখতে জাপান, কোরিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও ইংল্যান্ড থেকেও দর্শক আসতেন।
১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর জন্য প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই সিনেমা হলটি খ্যাতি অর্জন করে। জাপান, কোরিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড প্রভৃতি দেশ থেকে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা মণিহারে আসতেন চলচ্চিত্র দেখার জন্য।
৪২ বছর আগে নির্মিত এই ঐতিহ্যবাহী হলটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মালিক জিয়াউল ইসলাম মিঠু জানিয়েছেন, সেখানে মার্কেটের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে আদৌ হোটেল হবে নাকি অন্য কিছু সেটা নিশ্চিত জানা যায়নি।
বলা হচ্ছে দর্শক পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার মন্দা। বর্তমানে কলকাতার সিনেমা চালালেও দর্শক মিলছে না। তবে মালিকরা পাশের মাল্টিপ্লেক্স ‘মণিহার সিনেপ্লেক্স’ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।