ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের ১নং সাব-সেক্টরের কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, জননন্দিত নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন খুবই অসুস্থ।
মৃত্যু শয্যায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সরকারের নিকট মানবিক সাহায্য চাইলেন আয়েশা ।
গত ৫ই আগস্ট মধ্যরাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতাল হতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(পিজি) তে ভর্তি করা হয় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে।
সেখানে বহুমুখী শারিরীক জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে শয্যাশায়ী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ মৃত্যুর সাথে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন।
তাঁর স্ত্রী আয়েশা সুলতানা মৃত্যু পথযাত্রী মোশাররফ হোসেনের দ্রুত জামিন চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট আবেদন করেছেন।
অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর নিজ বাসভবন থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর পল্টন থানার মামলায় গ্রফতার দেখানো হয়।
কারাগারে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের ৯ টি মামলায় গ্রফতার দেখাতে আদালতে হাজির করলে চট্টগ্রাম কারাগারে স্বাস্থ্য অবনতি হলে চমেকে ভর্তি করা হয়,চমেকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাতে বলা হয়।
পরবর্তীতে একাধিকবার তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হন।
এই প্রধান উপদেষ্টা জঙ্গী মনোভাবাপন্ন একজন ব্যক্তি। শেখ হাসিনার সাথে তাঁর তুলনার এক ফোঁটা জায়গা নেই।
৫ আগস্টের পর ‘হয়রানিমূলক’ একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর দফায় দফায় তাঁর বয়স বিবেচনায় নিয়ে জামিন দিতে তাঁর স্ত্রী প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের কাছে চিঠি লিখেছেন।
উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকার রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে পরিবারের কাছে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। যেখানে মানবিকতা দেখানোর প্রশ্ন আসে না সেখানেও মানবিকতা দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আর এই সরকার তদন্ত প্রক্রিয়ায় থাকা মামলাতেও একজন প্রবীণ ও বার্ধক্যে জর্জরিত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে জামিন দেয়নি, দিচ্ছেনা। বরং নির্লজ্জভাবে উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি করে যাচ্ছে।