ঢাকা: জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদের উপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নাই। দেশবাসী আজকের ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে ইউনূসের জামাতি পুলিশ বাহিনীকে।
সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রী মহল শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য কুটকৌশলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অশান্ত করে শান্তিপূর্ণ শিক্ষক সমাবেশে হামলা চালিয়েছে।
দেশের অবস্থা কতটা করুণ হলে জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজের উপর এভাবে অত্যাচার জুলুম করতে পারে।
জলকামান সাউন্ড গ্রেনেড রাবার বুলেট লাটিপেটা ককটেল কি ছিলনা আজকের পুলিশের হামলায়।
কী অবস্থা শুরু হয়েছে দেশের!
আজকে শিক্ষক কর্মচারী আন্দোলন থেকে গ্রেফতার অন্তত ৪২ জন, আহত ৫১জন। রক্তাক্ত করে দেয়া হয় শিক্ষকদের।
‘স্যার আমার অপরাধ কি,স্যার আমার অপরাধ কি’?
একজন এসএসসি পাস কনস্টেবলকে এভাবেই বলছেন একজন মানুষ গড়ার শিক্ষক।
আসলেই তাঁদের অপরাধ কী? তারা কি কোন স্থাপনায় আগুন দিয়েছে?
ঠিক এইভাবে কানে ধরে, দাড়ি টেনে যদি শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ এভাবে একজন শিক্ষককে নিয়ে যেত? ভেবেছেন এতক্ষণে পুরো দেশ কেঁপে উঠতো।
আলেম মাওলানারা ইসলাম বিদ্বেষী বলে শেখ হাসিনার সরকার কে ট্যাগ দিয়ে এতক্ষনে আন্দোলনে নেমে পড়তো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাৎক্ষণিক মিছিল হতো!
কিন্তু আজ কী দেখলেন? শিক্ষকদের আজকে ভয়ংকরভাবে নির্যাতন করেছে কিন্তু কারো কোন টু শব্দ আছে?
দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সোমবারের মধ্যে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারির আলটিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষকরা।
বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি এগিয়ে এনেছেন।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করবেন শিক্ষকরা।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা করেন।
