ঢাকা: ‘শান্তিতে’ নোবেল পাওয়া বাংলাদেশে জঙ্গী ক্যু এর ‘মেটিকুলাস ডিজাইনার’ ড. ইউনুস দিন দিন প্রচণ্ড স্বৈরাচারী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছেন।
তাঁর কথা ও আচরণে তারই প্রকাশ পাচ্ছে। কথিত জুলাই অভ্যুত্থান এর অনুষ্ঠানে তিনি তারই প্রমাণ দিলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন থেকে প্রতিবছর এই আয়োজন করা হবে, যাতে স্বৈরাচার কোনোভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
ইউনূস বলেন, “স্বৈরাচারের প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন আমরা তাকে ধরে ফেলতে পারি। ১৬ বছর যেন আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়।”
১১ মাসেই তো সব ম্যাজিক দেখিয়ে ফেলেছেন, তিনি আর বাকি সময় থাকলে যে দেশ বিক্রি করে দেবেন, তার নিঃসন্দেহে বলা যায়।
তিনি তো দেশের জন্য কুরসিতে বসেননি। বসেছেন ফায়দা লুটে দেশটাকে পাকিস্তান বানানোর জন্য। জঙ্গীরাষ্ট্র বানিয়ে ছাড়বেন বাংলাদেশকে তাঁর কর্মকাণ্ড এমনই।
ইউনূস জুলাইকে স্মরণ করতে চান, মুক্তিযুদ্ধের মাসগুলোকে নয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি শেষ করে জুলাইর স্মৃতি উন্মোচন করেছেন তিনি।
হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ”আজ ইতিহাসের এক গৌরবময় ক্ষণ। এক বছর আগে, এই জুলাই মাসে আমাদের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান রচনা করে আমাদের মুক্তির স্বাদ দিয়েছিল।
জুলাই ছিল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এক অমোঘ ডাক, এক জনতার জাগরণ।
“সেই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ‘ফ্যাসিবাদের বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া’।”
তিনি বলেন, ”আমরা প্রতি বছর এই সময়কালটা উদযাপন করব যাতে পরবর্তীতে ১৬ বছর আমাদের অপেক্ষা করতে না হয় আবার এই অভ্যুত্থান করার জন্য।”
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ঘুরে ফিরে আসছে আগেই ভালো ছিলাম।
৫ আগষ্টের পর থেকে এক বিভীষিকাময় প্রতিটা দিন পার করছেন জনগণ।
মুরাদনগরের ঘটনা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
সব চক্রান্তের নেতৃত্বে ইউনূস গং, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতিকে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে চায়।
শেখ হাসিনার করে যাওয়া উন্নয়নের পথে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছেন ইউনূস। আবার তিনিই বলেন গণতন্ত্রের কথা।।
গলায় শান্তিতে নোবেল ঝুলিয়ে আর কত দিন মানুষ কে ধোকা দেবেন ?
রাজনীতিকে কলুষিত করে ফেলেছে। ড. ইউনূস কখনোই নির্বাচনে দাঁড়াননি, কখনো জনগণের ভোট পাননি তবুও তিনি বাংলাদেশকে নিজের মতো করে শাসন করছেন।
বর্বরতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সবকিছু।
দেশজুড়ে জুলাই আগস্টে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। আক্রান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান; আক্রান্ত আহমদিয়াদের উপাসনালয়ও।
আক্রান্ত হচ্ছে এখনো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুর্যালসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারক ধ্বংস করা হয়েছে।
মব ভায়োলেন্সের গতি আর থামানো যায়নি। মবতন্ত্রের দেশ হয়ে গেছে এখন। আমরা ভুলে যাইনি মব ভায়োলেন্সেই সম্পন্ন হয়েছে পদত্যাগগুলো।
জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে কলেজ-স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ব্যক্তি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে।
এবং এই মব ভায়োলেন্সের সর্বশেষ শিকার হলেন সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা।