লালমনিরহাট: রাজনৈতিক, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, গ্রেপ্তারি চলছেই একের পর এক। এবার মামলা হলো কিছু ভিন্নভাবে।

২০২৪ এ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় লালমনিরহাটে আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতেই নাকি আগুনে পুড়ে ছয়জন নিহত হয়।

এবার এই ঘটনায় ৭৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ৯ মাস পর হঠাৎ হলো মামলা।

যাদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। এখনো এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলাটি করেছেন আরমান আরিফ (২৭) নামের এক যুবক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিকেলে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সুমন খানের (৪৬) শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার–সংলগ্ন বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এই ঘটনায় পুড়ে মারা যান ছয়জন।

বলা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে নাকি তাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে। তবে ষড়যন্ত্রমূলক বহু মামলা, ভুয়া গ্রেপ্তারি এইসব চলছেই।

যাচাই, বাছাই, প্রমাণ এসবের প্রয়োজন নেই এখন দ্বিতীয় স্বাধীনতার দেশে।

যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন- লালমনিরহাট শহরের পূর্ব থানা পাড়ার বাসিন্দা ও পৌর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান ওরফে ভুট্টু (৪৮), রিফিউজি কলোনির বাসিন্দা পৌর আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সেলিম খান ওরফে বকুল (৫৬), বসুন্ধরা এলাকার শরীফ মোহাম্মদ আতাউল্লাহ (৫০), সদরের কাজীর চওড়া গ্রামের বাবুল (৩৫), ওয়ারলেস কলোনির মো. দোয়েল (৩৬) ও রিফিউজি কলোনির মো. জুয়েল মিয়া (৩৯)।

স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দলই যদি বেআইনি হয়, তবে বৈধতা কোথায় ?

একদলীয় শাসনের ছক বাস্তবায়ন করতে ইউনূস সরকার চলছে পরিকল্পিতভাবে—যেখানে বিচার নেই, অধিকার নেই, শুধু দমন-পীড়ন!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *