নরসিংদী: মূলত নরসিংদী বলে নয়, সারা বাংলাদেশটাই এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এমন শাসক যে দেশে থাকে, সে দেশের এই গতি ছাড়া আর কী হবে বলেন?
প্রতিদিন লাশ পড়ে, প্রতিদিন কান্না হয়, প্রতিদিন গ্রেপ্তারি হয়। অথচ অপরাধী গ্রেপ্তার হয় না! ইউনূস এসে দেশটাকে তছনছ করে দিয়েছেন।
নরসিংদী জেলা এখন খুনের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। অবাস্তব নয়, একেবারে এই মাটির সত্য গত মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে জেলার সদর, রায়পুরা ও শিবপুর উপজেলায় সাতটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
অস্ত্রের মহড়া, প্রকাশ্যে গোলাগুলি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অপরাধ দমনে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা নেই, একেবারেই নেই। পুলিশ কিচ্ছু করছে না। সব জামাত শিবির পুলিশ বসে আছে আর মজা নিচ্ছে।
অপরাধীরা যা করছে সব মেনে নিতে হচ্ছে জনগণকে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন ফেরদৌসি আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ।
তিনি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরীর সমর্থক রয়েস আলীর স্ত্রী। এলাকাবাসী জানান, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা কাইয়ুম মিয়ার সমর্থকরা এই হামলা চালায়।
এইরকম হাজারো ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন ভয়াবহ অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ। পুলিশ আর সরকারের কোনো কথায় আর বিশ্বাস নেই জনগণের। ভীষণ আতঙ্কিত মানুষ। ঘর থেকে বেরোতেই ভয় এখন। বাঁচবে কীভাবে?