ঢাকা: বাংলাদেশের চারদিকে এখন অচলাবস্থা। দিনে পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষের পদচারণায় সরগরম থাকা ঢাকার শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এখন পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে।
মানুষজন নেই। চারদিকে থমথমে পরিবেশ। রোগীরা বারবার ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা না পেয়ে নিরাশ হয়ে।
শনিবারেও দেখা গেছে, চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেকেই বাইরে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন। উপায় নেই, কী করবেন!
বর্তমানে হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। ফলে ভোগান্তি চলছেই।
আর হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শতাধিক ছেলেপিলে।
এক ঘটনা ঘটে আর ভুক্তভোগী হয় হাজার মানুষ। গত বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
এবং হামলা চালান হাসপাতালে অবস্থানরত জুলাই আন্দোলনের আহত যোদ্ধারা। এমন ঘটনায় আহত হন ১৫ জন স্টাফ, চিকিৎসকরাও আহত হয়েছেন ।
এমন ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কে ভুগছেন নিরাপত্তা নিয়ে।
চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চলমান চিকিৎসা সেবাবিচ্ছিন্ন অবস্থার বিষয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ২৯ মে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতাল অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে ওই দিন থেকেই হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২৯ মে যে ঘটনা ঘটে, তাতে চিকিৎসকসহ সব সেবাদানকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন।”