ঢাকা: বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, সাস্ট সহ দেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ইউনূস সরকারের নির্যাতনের স্টীম রোলার চলছে।
ছাত্রছাত্রীদের উপর এত নির্যাতনের পরেও এখন আর তাদের আকাশ কাঁপেনা, বুক কাঁপেনা!
এখন তো শেখ হাসিনা নেই, তাই শিক্ষার্থীদের জন্যে দুঃখও নেই!
বুধবার বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উল্লিখিত দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের উপর টিয়ারগ্যাস, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
বর্বর হামলা চালায় ইউনূসের পুলিশ।
শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা তো হয়নি এর বদলে পুলিশ কর্তৃক নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বুয়েট প্রশাসন পুলিশের এমন আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, মর্মাহত এবং এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সংগঠন জুবায়ের আহমেদ।
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের এম ওয়ালীউল্লাহ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিন দফা দাবি নিয়ে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে।
জনদুর্ভোগ চিন্তা করে আমরা মাঠের কর্মসূচিতে যাচ্ছি না।
এরপর জুবায়ের আহমেদ ফের আরেকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
আগামীকাল সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করা হলো। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।
