রাজশাহী: লুট লুট! হরির লুট! গোটা দেশটা লুট করে নিলো জামাত বিএনপি জঙ্গীরা।
গাছ রোপন করতে চাইলে অবশ্যই আগে বাংলাদেশের সরকার গঠন করে ক্ষমতায় আসতে হবে, নয়তো গাছরোপন করা যাবে না।
চাঁদাবাজি, পাথর লুট, বিমানের চাকা লুট, জনগণের ও সরকারি সম্পদ চুরি, ঘুষ, শিক্ষা রাজনীতি, মাদক সেবন এইসব সরকার গঠন আর ক্ষমতা ছাড়া করা যাবে, কিন্তু গাছ লাগানো যাবে না।
যদি ক্ষমতা ছাড়া গাছরোপন করেন তা আইনতো দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
পাথর লুটের পর, এবার শুরু হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ লুটের মহা উৎসব, দেখবার কেউ নেই, থাকলেও লাভ নেই, মনে হচ্ছে জিনেরা গাছ হরি লুট করছে, তারা সবাই বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সদস্য।
রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) জমির হাজারো তাজাগাছ প্রকাশ্যে দিবালোকে লুট হয়ে যাচ্ছে। হরিলুটের খবর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানে না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে জমি ভরাটে নিয়োজিত ঠিকাদারকে দায়ী করছে এবং তাকে শোকজ করেছে।
জানা যায়, সিলিন্দা মৌজার প্রায় ২০৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে রামেবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জমিতে আম, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার গাছ ছিল। রামেবি প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী এসব গাছ দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রির জন্য নাম্বারিং করা হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
অথচ দেখা যাচ্ছে গোটা এলাকায় গাছ কাটার চিহ্ন। গাছগুলো পড়ে আছে মুণ্ডহীন। কী বিভৎসতা!
যে আসছে সেই লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশটা। ৫ আগস্ট থেকে শুরু করে এক একটা দিন করে লুট হচ্ছে আজকে অবধি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিন গাছ কেটে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর কাটা গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে যাতে চোখে না পড়ে।
এতে জমির বহু জায়গা এখন পুকুরের মতো হয়ে গেছে।
স্থানীয় নারী ববিতা বেগম বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে প্রতিদিন গাছ কেটে নিয়ে গেছে। আমাদের বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় গাছ বিক্রি করেছে।’
ধোঁকাবাজি ইউনূস, ধোঁকাবাজ তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা।
সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ কাটার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সাবেক ছাত্রনেতা, জমির ভাড়াটে দেখভালকারী হাফিজুল, ভরাটের ঠিকাদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে।