চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে মৌলবাদীর উৎপাত! হিন্দু সম্প্রদায়ের বাঁচার জায়গাটুকু আর মনে হচ্ছে নেই।
সীতাকুণ্ড পর্বতে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ভীষণ হুলুস্থুল শুরু হয়েছে! এই ব্যক্তিবর্গ ৯০% কনফর্ম বলে আনন্দিত, আসলেই কী এরা রাজনৈতিকভাবে নিরীহ?
চন্দ্রনাথ পাহাড় ও সীতাকুণ্ড হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে কেবল একটি ভৌগোলিক স্থান নয়; এটি একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র, তীর্থস্থান।
এখানে একাধিক মন্দির রয়েছে এবং পুরো পাহাড়টি সেই অর্থে ধর্মীয় পরিসর হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এটিকে শুধুমাত্র একটি মন্দিরের পাশে একটি মসজিদ তৈরি হচ্ছে — হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।
চন্দ্রনাথ পাহাড়েও ধর্ম নির্বিশেষে সবাই যান। সীতাকুণ্ডে অসংখ্য মসজিদও রয়েছে। স্থানীয় মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে সেখানেই পালন করতে পারছেন। হঠাৎ করে তীর্থস্থানের ভেতরেই একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ কেন নিতে হবে?
বাংলাদেশের ইতিহাসে বহুবার দেখা গেছে, ধর্মীয় স্থানের প্রশ্নকে ঘিরে সংঘাত ও সহিংসতা তৈরি হয়েছে। এগুলো ইচ্ছাকৃত!
অবশেষে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে একটি পোস্ট নজরে আসে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা অপপ্রচার ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।