ঢাকা: মহাজনের শাসনামলে আর কী না হবে? জনগণ তো বলা শুরু করেছে, ‘এই বাংলাদেশে জন্ম না হলে তো জানতামই না চুরি কত প্রকার’?
যেভাবে পাথর লুট,বিমানের চাকা চুরি,কাপড় ভর্তি কন্টেনার লুট হচ্ছে অবস্থা শেষ দেশের!
এখানে “বিমানের চাকা” ও চুরি হয়।
শাহজালাল বিমানবন্দরের মতো হাই সিকিউরিটি এলাকায় ১০ চাকা চুরি !
প্রতিটি চাকাই বোয়িং-৭৭৭ এর, বাজারমূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি তো ধরা পড়ছেই।
কখনো উড়োজাহাজের চাকা খুলে পড়ে যাচ্ছে, কখনো চাকা ফেটে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে চাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় গ্রাউন্ডেড রাখতে হচ্ছে।
এবার তো উড়োজাহাজের চাকাই চুরি হয়ে গেলো! খোদ বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সদস্যরাই এই চাকা চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনায় বিমান বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে গত সোমবার। করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
এইরকম হাই সিকিউরিটি এলাকা থেকে চাকা চুরি হয়ে যাচ্ছে! অবশ্য শস্যের মধ্যে ভূত থাকলে আর করার কী আছে!
চলতি সপ্তাহের গত শনিবার শাহজালাল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে হাই সিকিউরিটি এলাকা হ্যাঙ্গারে বিমানের গোডাউন থেকে ১০টি চাকা চুরির ঘটনা ঘটে।
প্রতিটি চাকার দাম ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার।
কর্মচারীদের দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য-লোকসানে বিমান বাংলাদেশ
শাহজালাল বিমানবন্দরের মতো হাই সিকিউরিটি এলাকায় ১০ চাকা চুরি!
উড়োজাহাজের চাকা চুরির ঘটনা ঘটায় চরম তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই কর্মীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। তবে অনেকেই এটিকে সরাসরি ‘চুরি’ নয় বরং ‘চাকা এক্সচেঞ্জ’ হিসেবে চালিয়ে দিতে চাইছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিমানের নতুন চাকাগুলোর বদলে বিদেশি একটি এয়ারলাইন্সের পুরোনো চাকা বসানো হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।আর কত কী ঘটবে এই ইউনূসের আমলে!
বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন—এখানে অনুমোদিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভেতরের একটি চক্রই এ ঘটনায় জড়িত।