ঢাকা: ৮৮ বছর বয়সে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের, হাসিমুখে আদালতের নির্দেশ মানলেন লতিফ সিদ্দিকী।
জননেতা আ: লতিফ সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, ৬-৭ বারের সংসদ সদস্য, অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ব্যক্তি।
এই সরকার মবকে বৈধতা দিয়েছে , মব কে তারা কুক্ষিগত করতে চাচ্ছে। মব একটা দেশের প্রতি চরম ঘৃণার, আইন অমান্যকারী কাজ।
সুতরাং যা হচ্ছে, যা হবে,খুব কঠিন পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে দেশ।
আদালতের কাঠগড়ায় আজ দাঁড়িয়ে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকী। পেছনে হাতকড়া, অথচ মুখে অনড় হাসি—এ যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্যায়ের সামনে এক মুক্তিযোদ্ধার অটল সাহসের প্রতিচ্ছবি।
বাকরুদ্ধ” শ্বাসরুদ্ধকর দেশ” এই হাসি বিজয়ের, হাসিমুখে কারাগারে লতিফ সিদ্দিকী।
বাংলার মাটিতে যে মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছিলেন, আজ তাঁরাই আইনের নামে অন্যায়ের শিকার। লতিফ সিদ্দিকীর হাসিমাখা মুখ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—স্বাধীনতার চেতনা এখনো বেঁচে আছে, কিন্তু তা বন্দী রাষ্ট্রের অবিচারের শৃঙ্খলে।
মব সন্ত্রাসের শিকার হলেন মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক কার্জন ও সাংবাদিক পান্না সহ ১৬ নাগরিক। মব তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিল। কিন্তু পুলিশের সাহস হলো না তাদের ছেড়ে দেওয়ার।
দীর্ঘ ১২-১৩ ঘন্টা ধরে চলেছে তাঁদের নামে মামলার সন্ধান। মামলা না পেয়ে অতঃপর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হল। মানে, আগে আটক তারপর মামলা।
ব্যক্তি যেই হোক মব কাউকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেই কোন না কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও ঢাবি অধ্যাপক কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।
অন্যরা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন (৭৩), মঞ্জুরুল আলম (৪৯), কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল (৭২), গোলাম মোস্তফা (৮১), মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু (৬৪), মো. জাকির হোসেন (৭৪), মো. তৌছিফুল বারী খাঁন (৭২), মো. আমির হোসেন সুমন (৩৭), মো. আল আমিন (৪০), মো. নাজমুল আহসান (৩৫), সৈয়দ শাহেদ হাসান (৩৬), মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (৬৪), দেওয়ান মোহম্মদ আলী (৫০) ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম (৬১)।