ঢাকা: অবশেষে পুলিশের নতুন পোশাক চূড়ান্ত। এ যেন রুচির দুর্ভিক্ষ। এটাই নাকি ইউনূসের কালের সংস্কার!
বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা পরিধান করবেন নতুন রঙের নতুন পোশাক। পুলিশের এই পোশাক পরিবর্তনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সম্প্রতি এক চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে কেন্দ্রীয় রাজারবাগ পোশাক ভান্ডার থেকে নতুন পোশাকসামগ্রী গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে পোশাকের যা রং দেয়া হয়েছে তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে দেশবাসীর মধ্যে। জনগণ অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
তাঁরা বলছেন, এই কী রং দেয়া হলো? দারোয়ান বানিয়ে ছাড়া হলো সবাইকে।
শুধু জনগণ নয়, পুলিশের নতুন পোশাকের রং নিয়ে বাহিনীর অভ্যন্তরেই দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেক সদস্যের মতে, নতুন পোশাকের রং আসলে ‘রুচির দুর্ভিক্ষের প্রতিচ্ছবি’! এই পোশাক কারোই পছন্দ নয়।
অধিকাংশ পুলিশ সদস্য নতুন পোশাকের রংকে ‘অরুচিকর ও বেমানান’ বলে মনে করছেন। তবে চাকরির কারণে কেউ প্রকাশ্যে পরিচয় দিতে রাজি নন।
তাঁরা বলছেন, জোর করে এই বেমানান রং চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের পুলিশের পোশাকের রং দেখলেও আরও মানানসই বিকল্প পাওয়া যেত।
তাছাড়া পোশাকের রং পরিবর্তন করে কী হবে? ইউনূসের প্রশাসনের কাজকর্ম তো এক কথাই বলবে। এইভাবে দেশ চলে?
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ এর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের পাশাপাশি পোশাক পরিবর্তনের দাবি উঠছিলো।
পুলিশ, র্যাব ও আনসারের নতুন পোশাকের রং নির্ধারণ করা হয়েছে। পুলিশের পোশাক হবে লোহার (আয়রন) রঙের, র্যাবের জলপাই (অলিভ) রঙের, আর আনসারের সোনালি গম (গোল্ডেন হুইট) রঙের।
পোশাকের রঙের কোনো ব্যক্তিত্ব নেই।
গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (লজিস্টিক) সারোওয়ার জাহান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, নতুন পোশাকসামগ্রী ও মালামাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে সরকারি গাড়ি দিয়ে রাজারবাগ পোশাক ভান্ডার থেকে সামগ্রী সংগ্রহের অনুরোধ জানানো হয়।
