ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতি আজ অদ্ভুত বাস্তবতার মধ্যে দাঁড়িয়ে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, গণতান্ত্রিক অধিকার ও জন অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করা এখন যেন একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে।

জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়—এ এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে ৫ আগস্টের পর। কত শত ষড়যন্ত্র।

তবে জনগণ এখন ক্ষেপে উঠেছে। সহিংসতা নয়, তারা বিশ্বাস করে সত্যিকারের শক্তিতে।

৫ আগস্টের ঘটনা তো পুরোটাই মেটিকুলাস ডিজাইন। এই কথা নিজেই স্বীকার করেছেন ইউনূস।

প্রাণঘাতী ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা জানে দেশবাসী। আবু সাঈদের ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা দেশবাসী জানে।

তাই যদি বলা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ হাসিনা তা ভুল হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের আগে ই মেইলে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এই দাবি করেছেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সবটাই ষড়যন্ত্র। ট্রাইব্যুনাল তো জামাতির কবলে, তাই কী রায় হতে চলেছে তাও প্রায় জানা দেশবাসীর। তাই এইসব মানবে না জনগণ, জানিয়েই দিয়েছে।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন, তার অনুপস্থিতিতে যে বিচার চলছে, তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’ সাজানো এক ‘প্রহসন’।

সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেছেন, তিনি এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি বা নিজের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে ‘চূড়ান্তভাবে নিশ্চিহ্ন’ করতে এই মামলা দিয়েছে।

এখনো আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচাল করার চেষ্টা করছে জামাত শিবির।

নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সহিংসতার নেপথ্যে আছে এক ষড়যন্ত্রমূলক চিত্রনাট্য—যাতে আন্তর্জাতিক মহলে বিভ্রান্তি ছড়ানো যায় এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীকে “অশান্ত” হিসেবে প্রচার করা যায়।

অথচ সত্য হলো, বিএনপি-জামাতের গোপন কার্যালয়ে বসেই এই অগ্নিসন্ত্রাসের পরিকল্পনা হচ্ছে, যার বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে এনসিপি’র ছত্রছায়ায় থাকা একটি সংঘবদ্ধ দল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *