ঢাকা: শিক্ষকদের ওপর ইউনূসের পুলিশ বর্বরভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের আহত করে।
শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবির জন্য পুলিশের এভাবে লাঠি চার্জ মোটেই কাম্য নয়।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১️. সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান।
২. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান।
৩️. সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
আজ ৯ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় ও শাহবাগে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। তাঁরা প্রশ্ন করছেন, দাবি জানালেই সরকারের পুলিশ এইভাবে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালায় কেন?
এই কর্মবিরতির ফলে ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বর্বর হামলা চালিয়েছে। এবং প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মো. মাহবুবুর রহমানসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিও চলমান থাকবে।’
