ঢাকা: অবৈধ গ্রেপ্তারি চলছে প্রতিদিন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে চলছে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন। এমনকি পানি অবধি বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে যে, দেশের কারাগারগুলোতে তাদের দলের নেতাকর্মী, বিশেষ করে নারী নেত্রীদের ওপর চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে “অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং” হিসেবে আখ্যা দিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য এমন কোনো পন্থা নেই যে অবলম্বন করছে না।
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে এবং তাদেরকে অন্যায়ভাবে কারান্তরীণ করে রাখছে।
আবার কারা অভ্যন্তরে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে অনেককে হত্যা করেছে এবং অমানষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এবার এই অবৈধ দখলদার কারা অভ্যন্তরে অভিনব কায়দায় নারী নেতাকর্মীদের উপর চরম পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে।
কোনো বিষয়ে জেল সুপারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে এবং তার প্রতিবাদ করলে পুনরায় গার্ড ও অন্যান্য আসামীদের দিয়ে নিকৃষ্টভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
আবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে হয়রানি করার লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিভিন্ন কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।
আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চরম ও ন্যক্কারজনক উপায়ে এই অত্যাচার ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাই।
এ ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতনের বীভৎস বর্ণনা যে কোনো শুভবোধ সম্পন্ন মানুষকে আহত করবে এবং তাদের আহত হৃদয় সম্মিলিতভাবে এই জালিম খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
বিবৃতিটি “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগান দিয়ে শেষ করা হয়।