ঢাকা:”অভ্যুত্থানের পর ড: ইউনুস যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ছাত্র আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান ছিল না। এটি সূক্ষ্মভাবে ডিজাইন করা ছিল যা হঠাৎ করে ঘটেনি।

তারপর কারা এটা ঘটিয়েছে তাদেরও পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি। পরিচয় করিয়ে দিলেন ঘটনার মাস্টারমাইন্ডকেও।

তিনি পরিষ্কার হয়ে গেলেন, যেন তাঁর কোনো দায় নেই। তিনি এইভাবে পরিষ্কার হতে জানেন। তবে সব সত্য জনগণ এখন জানে।

জনগণ এটাও বারবার ইউনূসকে বুঝিয়ে দিচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো আর দেশ চালানো এক কথা নয়। তিনি সবাইকে তাঁর কাস্টমার ভাবতে পারেন না। কিংবা সব জায়গায় মহাজনী কায়দা চলে না।

লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টার গাড়িতে হামলাচেষ্টার ঘটনায় সৃষ্ট তিক্ত অভিজ্ঞতা আর মনে আতঙ্ক হয়ে গেছে ইউনূসের।

এই ঘটনার পর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে একা নন, সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে যাবেন সেখানে।

সূত্র বলছে, লন্ডনের ঘটনার পর সম্ভাব্য বিক্ষোভ ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ড. ইউনূস এক নজিরবিহীন পদক্ষেপে তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে দেশের চার শীর্ষ রাজনীতিবিদকে নিয়ে যাচ্ছেন, যাদেরকে তাঁর ‘রাজনৈতিক বডিগার্ড’ বা ‘রাজনৈতিক রক্ষাকবচ’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

মাহফুজ তো রোষানলে পড়েছিলেন। এরা যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। উপায় নেই। এদের কর্ম তাই বলে।

বিদেশের মাটিতে সরকারের একজন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে এমন ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়েছে। এই ঘটনাই ড. ইউনূসের আসন্ন সফর নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জাতিসংঘের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন:

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির।

আখতার হোসাইন: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মহাসচিব।

হুমায়ুন কবির: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এটি কেবল একটি সাধারণ প্রতিনিধিদল নয়। এই চারজন নেতা নিজ নিজ দলের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এবং জুলাই আন্দোলনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

উল্লেখযোগ্য যে, ড. ইউনূসের আগমনের খবর পেয়েই নিউইয়র্কের প্রবাসী আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ বাঙালিরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ডাক দেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *