ঢাকা: আসলে এইসব ষড়যন্ত্র। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বছরের পর বছর এই দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নির্যাতন হয়েই আসছে।
আজকে ইসকন নিষিদ্ধ করার জন্য মাঠে নামছে কালকে হিন্দু ধর্ম নিষিদ্ধের জন্য মাঠে নামবে! বড় কঠিন সময়।
এইগুলো সমস্তটাই দুরভিসন্ধি। আচমকা করে কোনো প্রমাণ ছাড়া ইসকনের নামে “অপহরণ নাটক” সাজানো হচ্ছে — এটা নিছক ঘটনা নয়, এটা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
মুফতি মহিবুল্লাহর ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, সচেতনভাবে সাজানো একটি চক্রান্ত।
আজ, ৩১ অক্টোবর ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ থেকে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সংগঠনকে দ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
অথচ যারা দেশে অনৈতিক কার্যকলাপ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মিছিল নেই, প্রতিবাদ নেই।
উগ্রবাদীরা বলছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। তাহলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে কারা? কারা ভাঙছে মূর্তি? কারা বয়ান দিচ্ছে মন্দির শুধু ভাঙার জন্যেই?
বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে কোনো ধরনের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বা ধর্মবিদ্বেষী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না।
বলে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও সরকারের উচিত সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্ত করে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। অন্যথায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
