ঢাকা: গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বায়তুল মোকাররম।
ফারুকী সাহেবদের মতো উপদেষ্টা হলে এ জাতি এর চেয়ে ভালো কি আর আশা করতে পারে। তেঁতুল গাছ রোপণ করে রূপালী আমের আশা করে তো লাভ নেই।
মৌলবাদীরা গান চায় না, আবার ধর্মও কিন্তু চায় না; ধর্ম চাই ধর্ম চাই এই যে তাদের এত চিৎকার, আসলে এরা চায় ভণ্ডামি। এরা চায় তালিবানি শাসন, এরা চায় নারী ঘরের ভিতর বসে থাকুক বোরখা পরে, এরা চায় ধর্ষণ, এরা চায় আরো মূর্খামি।
এরা গানের কদর বুঝবে কী করে? এই বাংলায় মৌলবাদীরা গানের কদর বুঝবে না ।
এরা কিন্তু একবারো মাদ্রাসায় ইমামের দ্বারা শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ করে না, করবেও না। কারণ ওটা করলে এদের ঈমান নষ্ট হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ইসলামি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে দিয়ে গানের মতো বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা মুসলিম সমাজের আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী।
তারা বলেন, ‘গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না, বরং তা চরিত্রে অবক্ষয় ডেকে আনে। ইসলামি আদর্শে গড়া নতুন প্রজন্ম গঠনে চাই যোগ্য আলেমদের দ্বারা ধর্মীয় শিক্ষা।’
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে ইসলামি মূল্যবোধ ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
তারা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে প্রাধান্য না দিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসারে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেন, ‘এই দেশে ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান, অথচ তাদের জন্য ফরজ দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা।’
তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, ‘ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না হলে সারা দেশের আলেম-ওলামাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।’
বিক্ষোভকারীরা গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ইসলামি শিক্ষকের আবশ্যিক নিয়োগের দাবি জানান।