ঢাকা: ইউনূস সরকারের এনজিওর কর্মকাণ্ড! রোহিঙ্গাদের চাকরিতে রেখে বাংলাদেশী স্থানীয়দের ছাঁটাই কার্য।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই, অথচ তাদের সুবিধা দিয়েই যাচ্ছে এই সরকার।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা।
তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহালের ব্যবস্থা না হলে আন্দোলন আরো ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
এবং ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ ও অনশন চালিয়ে যাবেন।
ইউনূস কী করছেন? প্রশ্ন শিক্ষকদের।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা মানবিক সংস্থার অধীনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। হঠাৎ করেই তাদের বিনা কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ফলে জীবিকা হারিয়ে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
রোহিঙ্গা শিবিরে চাকরি করা এনজিও, ফাউন্ডেশন ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয়—কক্সবাজারকে যেন “বহিরাগতদের খেলার মাঠ” বানানো হয়েছে।
বড় বড় পদগুলোতে বসে আছে কক্সবাজারের বাইরে থেকে আগত কর্মীরা। স্থানীয়রা কোথায়?
অভিযোগ উঠছে, বড় পদে বহিরাগতরা থাকায় স্থানীয়রা প্রায়ই হচ্ছে “দরজা খোলা, কিন্তু ভেতরে ঢুকা নিষেধ” পরিস্থিতির মধ্যে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ১২০০ স্থানীয় বাংলাদেশি শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মূলত বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানো হলে তাদের চাকরি থেকে ছাটাই দেওয়া হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা শিক্ষকরা এখনও দায়িত্বে বহাল আছেন।
শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন অর্থ সংকটকে অজুহাত দেখিয়ে এনজিওগুলো বেতন কমাচ্ছে বা চাকরি বাতিল করছে। প্রশাসন আগে আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি তোলার কারণে এইভাবে চাকরিচ্যুত হয়েছেন।