ঢাকা: ইসলামে সঙ্গীত নাকি হারাম! অথচ একটু কানে কড়া শোনালেও বলতে হবে, মাদ্রাসায় যে প্রতিদিন ছোট শিশুগুলো ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, এই অপকর্মগুলো হারাম নয়?
মৌলবাদীদের চাপের মুখে বরাবর নতিস্বীকার করেছে বাংলাদেশ। আর এখন তো ইউনূসের আমল। তিনি তো গদিতে বসেছেনই দেশটাকে উত্তেজিত করার জন্য।
প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে আগেই আপত্তি জানানো হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ ও সঙ্গীতশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে। যুক্তি ছিলো, এই সব বিষয় ইসলামবিরোধী।
ক্রমাগত চাপ বাড়াতে থাকে মৌলবাদীরা। তালিবানি শাসন হার মানবে দুইদিন পর এই বাংলাদেশে।
সোমবার বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি শারীরশিক্ষা বিভাগেও শিক্ষক অর্থাৎ পিটি শিক্ষকও নিয়োগ করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
সব ভালো জিনিস হারাম। সব মন্দ জিনিস হালাল।
মন্ত্রকের তরফে মাসুদ আখতার খান বলেন, ”গত আগস্টে ঘোষিত পোস্টগুলির মধ্যে চারটি পদ থাকলেও সংশোধনীতে দুটি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ নতুন ঘোষিত বিজ্ঞপ্তিতে নেই।”
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন তসলিমা নাসরিন।
তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন:
“জিহাদিরা দাবি জানিয়েছিল প্রাথমিক স্কুলে সঙ্গীত আর পিটির জন্য শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। যথা আজ্ঞা বলে সরকার বাহাদুর মাথা পেতে জিহাদিদের আদেশ মেনে নিয়েছে।
জিহাদিরা যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবে চলবে। এই হলো আসল কথা।
এখন জিহাদিদের হাত থেকে দেশকে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে, সমাজকে, ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাঁচাবার জন্য প্রতিবাদ করুন”।
