গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ শুধু একটি জেলা নয়, এটি একটি ইতিহাস, পরিচয়ের প্রতীক।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি, যেখান থেকে বাংলাদেশের আত্মার উৎসারিত।

গোপালগঞ্জের জনগণ আওয়ামী লীগকে ধর্ম মানে, আর বঙ্গবন্ধু দেবতা।

সেই গোপালগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে যখন একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা গিয়ে “মুজিববাদ মুর্দাবাদ” স্লোগান দেয়, তখন সেটা কি শুধুমাত্র মতপ্রকাশের স্বাধীনতা?

নাকি এটি ছিল সুপরিকল্পিত উসকানি! সেই উস্কানিটা দিয়ে এই টোকাইরা যুদ্ধ বাঁধাবে, এই পরিকল্পনা আগের থেকেই ছিলো।

গোপালগঞ্জের আবেগ ওরা জানে। পুলিশ, সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা আর বলে কী হবে?

জামাত, রাজাকারদের ঢুকানো হচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনীতে। ফলে তারা তাদের মতোই আচরণ করেছে।

একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে, কেন এই শ্লোগান দিতে হলো গোপালগঞ্জে গিয়ে? এই রক্তে আগুন লাগানোটা ইচ্ছাকৃত নয় কী?

চকিদার তো ছিলোই এদের। অভিযানে যাদের নিরাপত্তায় ছিল ৫ হাজার পুলিশ, র‍্যাব, এমনকি সেনা সদস্য পর্যন্ত, তারা কার স্বার্থ রক্ষা করেছে, তা তো পরিষ্কার ।

‘কিংস পার্টি’ পুলিশ আর প্রশাসনের পাহারায় রাজনৈতিক মাঠে নামতে চায়। যাদের চলাফেরা রাজকীয়, কিন্তু জনসমর্থনের শূন্যতায় মুখ থুবড়ে পড়ে।

গোপালগঞ্জবাসীর যদি ইচ্ছা থাকতো, তাহলে সেই মঞ্চ বানাতেই দিতো না। কিন্তু তারা সেটা করেনি। বরং শান্তিরক্ষায় বিশ্বাসী ছিলো। অথচ তাদের আবেগে পা দিয়ে উথলানো হয়েছে। তারপর আবার তাদেরই মারা হয়েছে।

এদিকে এখন, গোপালগঞ্জে নদীপথ পাহারা দিতে নৌবাহিনী এবং সাথে ছোটখাট বেশ কিছু যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে অবৈধ সরকার।

আপনাদের মনে আছে, বাংলাদেশের মাটিতে জনগণের বিরুদ্ধে এভাবে নেমেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। আর এবার নেমেছে পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *