ঢাকা: চলে গেলেন রকিব হাসান।শৈশবের রোমাঞ্চকর জগতের স্রষ্টা তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু পাঠক চোখের পানিতে স্মৃতিচারণ করেছেন নিজের জীবনের সাথে কীভাবে মিশে ছিলেন রকিব হাসান।
একজন পাঠক লিখেছেন, “শৈশব মানেই ছিল “তিন গোয়েন্দা” কিশোর, মুসা আর রবি…
রাত জেগে টর্চলাইটের আলোয় পাতার পর পাতা উল্টে যেতাম, রহস্যের জগতে হারিয়ে যেতাম, ভয় পেতাম, আবার সাহস পেতাম…
আর এই সবকিছুর পেছনে ছিলেন এক নীরব জাদুকর রকিব হাসান…
আজ তিনি আর নেই…
যে মানুষটি আমাদের কল্পনার ভেতর গোয়েন্দা জীবনের স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন, যিনি আমাদের শৈশবকে উপহার দিয়েছিলেন সাহস, বন্ধুত্ব আর রহস্যের মায়া, তিনি আজ সময়ের ওপারে চলে গেছেন…”
আজ বুধবার দুপুরের দিকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেছেন, ‘রকিব হাসান নিয়মিত আমাদের হাসপাতালে এসে কিডনি ডায়ালাইসিস করেন। আজও তিনি এসেছিলেন। তবে ডায়ালাইসিস শুরুর কিছুক্ষণ আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’
সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে তিনি লেখকজীবন শুরু করেন, প্রথমে অনুবাদ দিয়ে এবং পরে নিজস্ব সৃষ্টিতে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
তিনি টারজান, গোয়েন্দা রাজু, রেজা-সুজা সহ চার শতাধিক বই লিখেছেন, তবে “তিন গোয়েন্দা” তাঁকে এনে দেয় বিশাল খ্যাতি।
