ঢাকা: জামাত জিহাদিদের অবৈধভাবে পুলিশ সেনাবাহিনীতে চুপচাপ নিয়োগ দিচ্ছে জঙ্গী সরকার।

গোপালগঞ্জের লড়াইটা রাজাকার, দালাল ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য লড়াই ছিলো। আর এই লড়াইয়ে প্রায় ১৯/২০ জন মারা গিয়েছেন, যদিও সেই হিসেব প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এবং তাদের দাফন কাজ আড়ালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই করা হয়েছে!

আমরা কি আবার একাত্তরে ফিরে গেলাম?

আবারো রাত নামলে দরজায় টোকার শব্দ। সেনাবাহিনীর হাতে গণহত্যা, গণগ্রেফতারের কবলে গোপালগঞ্জ।

আসলে শুধু গোপালগঞ্জ না, সারা বাংলাদেশে যদি কেউ রাজাকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদেরই শাস্তি হচ্ছে।

গোপালগঞ্জকে মেটিকুলাসলি শূন্য করা হচ্ছে। কারণ, তাদের টার্গেট বঙ্গবন্ধুর মাজার গুড়িয়ে দেওয়া।

যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, তারা কি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ না?

গুলিবিদ্ধ রমজান আলী আজ মারা গেছেন । এই নিয়ে বলা হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ । তবে সংখ্যাটা আরো বেশি।

রাষ্ট্রীয় বাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে নিরাপত্তা দেয়ার নামে সাধারণ ৫ জন নাগরিককে হত্যা করেছে।

ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ গুলো দাফন করা হয়েছে যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে।

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী নির্বিচারে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চৌরঙ্গী লঞ্চ ঘাট এলাকায় (কোর্টের সামনে) গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে তিনি মারা যান। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল করতেন না। কিন্তু এভাবেই তাদের প্রাণ দিতে হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *