ঢাকা: বিএনপি এতদিন মব সন্ত্রাস, ধর্ষণের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি বরং উৎসাহিত করেছে।
কিন্তু এখন বলছে, বলে জনগণের আই ওয়াশ করার চেষ্টায় নেমেছে। ক্ষমতায় আসাল লোভে এই কথাগুলো তাদের মুখে।
কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা ও ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ও শ্রমিকদলের নেতা কর্তৃক নৃশংস ধর্ষণ ঘটনায় বিএনপি এখন নড়াচড়া শুরু করেছে এবং মহাজন ইউনূস প্রশাসন ও আওয়ামী লীগকেও দায়ী করছে।
অথচ বিএনপির ইতিহাস কারো অজানা না।
বিএনপি তাদের ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের শাসন আমলের অপশাসন দুঃশাসনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে ও নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে দিচ্ছে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যালঘু এক হিন্দু নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
এই ধর্ষণ কান্ডে অভিযুক্ত যারা রয়েছে তারা সবাই বিএনপির কর্মী সমর্থক।
২০০১ থেকে ২০০৬ এর শাসনামলের বিভৎস রূপে ফিরে যাওয়া বিএনপির মুখে দেশে শান্তি নেই এই কথা মানায় না।
বিএনপির ২০০১ থেকে ২০০৬ এর শাসনামলেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের এক বিভীষিকাময় অধ্যায় পার করতে হয়েছিলো।
বিএনপির শাসনামলে বিএনপির কর্মীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে যে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের এক গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের এক নাবালিকাকে ১০ থেকে ১২ জন মিলে গণধর্ষণ করেছিলো।
বিএনপি এখনো ক্ষমতায়ই আসে নি। ক্ষমতায় না এসেই যদি এমন বিভৎস রূপ দেখায়… তাহলে?
সেই জায়গায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও, দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলেই নারীর ওপর এ ধরনের বর্বর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।”
দেশের নারীরা কোন কালে নিরাপদ ছিলো?
“ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে দুষ্কৃতকারীরা।
ভোলায় নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দুষ্কৃতকারীদের সংঘটিত এ ধরনের বর্বরোচিত ও পশুর চেয়েও হিংস্রতায় গোটা দেশের মানুষ হতভম্ব।
“নারীর ওপর ধারাবাহিক এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনায় দেশের নারী সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমনের কোনো বিকল্প নেই।”
দেশে যা কিছু অপরাধ হচ্ছে সব আওয়ামী লীগের ওপর দিয়ে নিজেরা সাফাই গাইছে। তবে জনগণ নির্বোধ নয়।