ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ থেকে খারাপ হয়েছে।
ভারত কখনোই চায়না প্রতিবেশীর সাথে এই সম্পর্কের, তবে বাংলাদেশে সরকার বদল, ইউনূস ও তাঁর বাহিনীর জঙ্গী চাষাবাদে ভারত ক্ষিপ্ত।
ক্রমশ পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ হয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এবং জঙ্গীবাদের প্রশ্রয় দিয়ে আসছে।
আর এবার ফের প্রয়োজন হলো ভারতের। প্রয়োজনে পাকিস্তান নয়, ভারতকেই চাই বাংলাদেশের। অথচ ভারতের বিরুদ্ধে রাজাকারদের কথা বলতে বাঁধে না!
বাংলাদেশে চালের দাম বেড়ে গিয়ে হাহাকার অবস্থা। কৈ পাকিস্তানের সাথে এত হাত মেলানো, জঙ্গীর দেশ সাহায্য করলো না?
বা এবার তো কোনো রাজাকার আপত্তি জানালো না যে ভারতের চাল খাবে না! আরেহ! এদের ভণ্ডামি যারা না বুঝতে পারছে তারাই বোকা বনে যাচ্ছে।
দেশে কয়েক মাস ধরে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ মারাত্মক বিপাকে পড়ে। অবশেষে দিশা না পেয়ে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার।
অনুমতি পাওয়ার পর গত ১২ আগস্ট হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও শুল্ক জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা চাল খালাস করতে পারেননি।
১৮ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমিয়ে ২ শতাংশ এআইটি নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে চাল খালাস শুরু করেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির পরিমাণ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে। বর্তমানে ভারতীয় চাল বাজারে ৮০–৮২ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
চার মাস পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও আবার চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল দেশে আসে।
বেনাপোলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাজী মুসা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে আমরা চাল আমদানি শুরু করেছি। আরও অনেকে এলসি খুলছেন, ফলে আগামী রবিবার থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়বে।’
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানিয়েছেন, ‘প্রথম দিনে ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল এসেছে। আরও চালবোঝাই ট্রাক বন্দর এলাকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।’