ঢাকা: অথর্ব সরকার বসে বসে দেখে! চোরের উপর জুয়া চুরি চলছে দেশে। একেকজনের উপর একেকজন চোর।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,নাহিদ, হাসনাতের আস্থাভাজন চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার! হতদরিদ্র রিয়াদের হঠাৎ এমন বাড়বাড়ন্ত, পাকা বাড়ি দেখে অবাক এলাকাবাসী। রিয়াদ! স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আদরের ব্যক্তি!
সমন্বয়ক রিয়াদের তেলেসমাতি, এক বছরেই গ্রামে পাকা বাড়ি!
রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ধারী রিয়াদ, যিনি একসময় দরিদ্র রিকশাচালকের সন্তান ছিলেন।
ছাত্ররাজনীতি ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসা রিয়াদ পরে বিলাসী জীবনযাপন শুরু করেন।
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার রিয়াদের বাবা রিকশাচালক আবু রায়হান হতদরিদ্র।
কোনোরকম টেনেটুনে সংসার চলত। থাকতেন টিনের চালাঘরে। ঘরের বেড়াও টিনের।
তবে দুহাতে অবৈধ পথে টাকা আসতে থাকলে টিনের ঘর কী আর পোষায়?
সেই টিনের ঘর সরিয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ গ্রামে পাকা ভবন তৈরি করছেন রিয়াদ। আড়াই মাস আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়।
গত সপ্তাহে ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়েছে। তাতে চারটি কক্ষ রয়েছে। যাদের সংসারে অভাব কখনও পিছু ছাড়েনি, তারা হঠাৎ পাকা বাড়ি তৈরি করায় এলাকায় আলোচনা শুরু হয়।
রিয়াদের গ্রামের কয়েকজন জানান, অভাবের মধ্যে বড় হওয়া রিয়াদের হঠাৎ পাকা ভবন নির্মাণ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে। তার বাবা ও বড় ভাই কিছুদিন আগেও রিকশা চালাতেন। এখন চালান না।
গত ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক হয়েছেন। কিছুদিন পরপর বাড়িতে আসেন। তার পোশাকে পরিবর্তন এসেছে। দামি মোটরসাইকেলও কিনেছেন বলে শুনেছেন।
পরিবারের দাবি, জমানো টাকা, অনুদান ও ঋণ নিয়ে ভবনটি করা হচ্ছে বলে দাবি পরিবারের।
রিয়াদের পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রিকশা চালানোর মাধ্যমে যে পরিবার চলতো, দিন এনে দিন খেতে হতো; সেখানে ৫ আগস্টের পর রিয়াদের বিলাসী জীবনযাপন, ছাদ ঢালাই করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করা দেখে আমরা অবাক হয়েছি।’
রিয়াদ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক।
ছাত্র আন্দোলন তো তা ছিলো না, পুরোটাই ষড়যন্ত্র। তারপর প্রত্যেকের আঙুল ফুলে কলাগাছ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সমন্বয়ক পরিচয়ে হয়ে ওঠেন চাঁদাবাজ। সমন্বয়কের মুখোশ পরে কীভাবে গ্রামের এক হতদরিদ্র রিকশাওয়ালা পরিবারের ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং বিলাসী জীবন যাপন করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসী। যদিও তার ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি।