ঢাকা: বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ভাঙচুর। পুলিশের পাহারায় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো দুর্গা মন্দির। তোলপাড় এই ঘটনায়!

‘সংখ্যালঘু’ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্থানের উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে সরব হল ভারত।

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার প্রাচীন দুর্গা মন্দির ভাঙার ঘটনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক(MEA)।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে, কিছু চরমপন্থী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় দুর্গা মন্দির ভাঙার দাবি তোলে।

মন্দিরকে সুরক্ষা দেওয়ার বদলে অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরকে “অবৈধ দখলদারি’ বলে দাবি করে মন্দির ভাঙচুরের অনুমতি দেয়।”

বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়, তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা”।

ঘটনায় ক্ষিপ্ত প্রাগ। ঢাকায় দুর্গা মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় ডঃ ইউনূসের অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সম্পূর্ণ সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ভারতকে RRAG-এর আহ্বান।

The Rights and Risks Analysis Group (RRAG) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, গতকাল ঢাকার দুর্গা মন্দির ধ্বংসের মতো ঘটনা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, এগুলো এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢাকায় নতুন নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সম্পূর্ণ সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ভারতকে আরও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সাংবিধানিক অবৈধতা সত্ত্বেও, ডঃ ইউনূস ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন।

লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার সাথে বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বিরোধীদের দমন করতে সক্ষম হন।

এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে তথাকথিত সংস্কার কমিশনগুলি অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাণরক্ষাকারী এবং ডঃ ইউনূস ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই ধরনের কমিশন তৈরি করে যাবেন”। বলেন মিঃ চাকমা।

অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে, বিশেষ করে বিএনপির, তাই তারা জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্ণ সমর্থনের উপর নির্ভর করছে।

অতএব, অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের হিন্দু এবং আদিবাসীদের উপর আক্রমণের ষড়যন্ত্র ও অনুমতি দিচ্ছে এবং এই আক্রমণগুলিকে সাধারণ অপরাধ হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তদুপরি, অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর নির্যাতন চালিয়ে যেকোনো বিরোধী দলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে তথাকথিত সংস্কার কমিশনগুলি অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাণরক্ষাকারী এবং ডঃ ইউনূস ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই ধরনের কমিশন তৈরি করে যাবেন”। বলেন মিঃ চাকমা।

অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে, বিশেষ করে বিএনপির, তাই তারা জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্ণ সমর্থনের উপর নির্ভর করছে।

অতএব, অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের হিন্দু এবং আদিবাসীদের উপর আক্রমণের ষড়যন্ত্র ও অনুমতি দিচ্ছে এবং এই আক্রমণগুলিকে সাধারণ অপরাধ হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তদুপরি, অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর নির্যাতন চালিয়ে যেকোনো বিরোধী দলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ১২৩ জন সদস্যের হত্যাকাণ্ড, তালেবানী স্টাইলে গলা‌ কাটার ঘটনা‌ ঘটেছে।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬৪০ জন সাংবাদিককে টার্গেট করা হয়েছে, ৫,০০,০০০ এরও বেশি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরআরএজি (RRAG)’র পরিচালক সুহাস চাকমা বলেন, “১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের হাইকোর্ট সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী পুনর্বহাল করে, যা ৯০ দিনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালানোর সুযোগ দেয়।

এই হিসেব অনুযায়ী, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ১৬ মার্চ ২০২৫-এ শেষ হয়েছে। কিন্তু ভারত এখনো ড. ইউনুসের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখায় অবৈধ সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে।

এতে করে আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকারের দাবিতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে না। এভাবে পুরো অঞ্চলেই নিরাপত্তা ও শান্তির ঝুঁকি বাড়ছে।”

মিঃ চাকমা বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের স্বার্থ অন্যদের চেয়ে অনেক আলাদা।

ভারত যদি তার বর্তমান নীতিমালা পর্যালোচনা না করে, তাহলে শুধু ভারতের স্বার্থই হুমকির মুখে পড়বে না, বরং বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী ও মৌলবাদবিরোধী রাজনৈতিক বা সাধারণ উদারপন্থীরাও টিকে থাকতে পারবে না। এটি কল্পনা নয়, বরং বাস্তবতা।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *