ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞা আর বন্ধ ছাড়া বিগত নয় মাসে আর কিছুই লাভ করতে পারেনি।

এবার এলো আরো দুঃসংবাদ। সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য ওয়ার্ক ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এ খবরে অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

কারণ এই মুহূর্তে হয়তো যুবকরা তৈরিই হয়েছিলেন সৌদি আরব যাবার জন্য। তাঁদের সেই গুঁড়ে বালি।

পুরো সৌদি আরবে ৩২ লক্ষ  বাংলাদেশি প্রবাসীদের বসবাস। দালাল দলের খপ্পরে পড়ে চাকরি না পেয়ে কিশোর তরুণ মধ্যবয়সী থেকে শুরু করে নিঃস্ব হয়ে যায় হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

গত ২৯ ই মে সাময়িকভাবে বাংলাদেশ সহ আরো ১৪ টি দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার।

ইউনূসের দেশকে আসলে বহির্বিশ্ব সহজভাবে নিতে পারছে না। সবদিক থেকেই তাই লোকসানের মুখে পড়ছে জনগণ।

এছাড়াও, আরো একটি বিষয় হলো, বহু বছর ধরে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির বেপরোয়া আচরণ, নিয়ম না মানা ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সৌদিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।

কেউ ভুয়া মেডিকেল দিচ্ছে, কেউ কাজে না গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আবার কেউ ছোটখাটো অপরাধে জড়াচ্ছে। এর ফলেই সৌদিদের চোখে “বাংলাদেশি মানেই ঝুঁকিপূর্ণ” এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক চপেটাঘাত খেলেও মুহাম্মদ ইউনূস নির্বিকার। কারণ তিনি এনজিও চালানো এবং দেশ চালানো যে ভিন্ন, তার বোঝেন না।

অন্তর্বর্তী সরকার ভাবছে, “কর্মসূচি” আর “ফান্ডিং” দিয়েই একটা দেশ চালানো যায়।

রাষ্ট্র কূটনীতি, রাজনীতি, সামরিক ভারসাম্য, অর্থনৈতিক গ্লোবাল পজিশনিং, শ্রমবাজার কৌশল—এই ভয়ানক জটিল বাস্তব জিনিসগুলো সামাল দেওয়া এক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে সম্ভব নয়।

মোদ্দা কথা হচ্ছে, যে রাষ্ট্র কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ করতে পারে না, বিদেশি বন্ধুদের ধরে রাখতে পারে না, তাদের পক্ষে শ্রমবাজার ধরে রাখা বহুদূর।

যতই যা হোক, দেশ উল্টে যাক, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইউনূস যতই চড় খান, তিনি তবুও কাজে আসবেন না।

এই সরকার কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। আজ সৌদি ভিসা বন্ধ করেছে, কাল হয়তো মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার—সবাই একে একে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ করে দেবে।

কারণ তারা জানে, এখন বাংলাদেশে যেটা চলছে, সেটা কোনো সরকার না—এটা একটা সমঝোতা-চক্রে গঠিত ক্ষমতাসীন এনজিও ক্যাম্প।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *