ঢাকা: খালাস পেয়ে গেলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্ব্বোচ আদালত এই রায় দেন।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।উল্লেখ করা জরুরি যে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন।
এটি লজ্জার, অবমাননার বলছে সাধারণ সচেতন জনগণ। উল্লেখযোগ্য যে, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কুখ্যাত এই রাজাকারকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিল জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দলটি রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। এবং দেখা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াত এই বিষয়ে আরও বেশি করে সোচ্চার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১-এ আজহার জামায়াতের সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। পদাধিকার বলেই আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার কমান্ডার ছিলেন তিনি। এবং যে বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম দমনে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর সেটা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়।