ঢাকা: একটা প্রবাদ আছে বাংলায়, ভাজা মাছটাও উল্টায়া খাইতে জানে না। সেই অবস্থা হয়েছে ইউনূসের। তাঁর নিশ্চিন্ত, নির্বিকার কথাবার্তা শুনলে মনে হয় না তিনি ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে জানেন।

অথচ সারা বাংলাদেশটায় আগুন জ্বালিয়ে রেখে দিয়েছেন। নদীতে এখন মাছ নয়, লাশ ভাসে।

আর সেই জায়গায় ইউনূস বড় মুখ করে বলছেন, বিশ্বব্যাপী সংঘাতের ছায়া শান্তি ও উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সংঘাতের দীর্ঘস্থায়ী ছায়া শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলছে।

আজ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের এক সাইডলাইন বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আজকের পৃথিবী এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের দাবানল পৃথিবীকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে, বৈষম্য বাড়ছে, সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে। ন্যায়বিচার ও শান্তির জন্য সংগ্রাম আমাদের মানবিকতারই পরীক্ষা করছে।’

অথচ তাঁর ক্ষমতা দখলের পর বাংলাদেশে বিচারের বাণী কাঁদছে। অন্যায়ের উপর অন্যায়। বিচারকদের ইচ্ছেমতো বরখাস্ত করা হচ্ছে, বদলি করা হচ্ছে অফিসারদের, যার কোনো ভিত্তি নেই। তিনিই দেন ন্যায় অন্যায়ের গল্প।

ইউনূস বলেন, এই সংকটগুলো আলাদা নয়, পরস্পরের সঙ্গে জড়িত সুতার মতো একে অপরকে টেনে পুরো ব্যবস্থাকেই নাড়িয়ে দিচ্ছে।

‘এটিকে মেরামত করার শক্তি অতীতে ছিল না, তা লুকিয়ে আছে আমাদের কল্পিত ভবিষ্যতে—এবং আজ এখানে আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব তাতেই,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যুদ্ধ ও বাস্তুচ্যুতি-সীমান্ত অতিক্রম করে অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে, খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে এবং অসংখ্য মানুষের জীবন ছিন্নভিন্ন করছে।

এ পরিস্থিতিতে পুরনো ব্যবস্থায় সমাধান যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন নতুন কূটনীতি, গভীরতর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়নে সমষ্টিগত প্রতিশ্রুতি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *