ঢাকা: সাকিব আল হাসান হতে যোগ্যতা লাগে, কিন্তু জঙ্গীরা চাইলেই আসিফ মাহমুদ হতে পারে!

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, আর যেন বাংলাদেশ টিমে খেলতে না পারেন বিসিবিকে আসিফ মাহমুদের বার্তা। গা জ্বালাপোড়ার কারণ, তিনি শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান’কে ক্রিকেটের বাইরে রাখার নানা ষড়যন্ত্র করছে দেশ দখলকারী’রা।

যারা সাকিব আল হাসানের একটা অটোগ্রাফ পাওয়ার মত যোগ্যতা রাখে না, আজ তারাই সুযোগ পেয়ে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছে।

নেত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর পরেই নতুন করে তাঁর নামে একটি মামলা সামনে এসেছে, মানি লন্ডারিংয়ের মামলা। এর পূর্বে অবশ্য হত্যা মামলাসহ বেশকিছু মামলাও দেয়া হয়েছে। যদিও এইগুলো সব ভুয়া।

তবে সাকিবের নামে এত্তগুলো মামলা থাকলেও সাকিব তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেননি। অর্থাৎ – রিস্ক, বাঁধা জেনেও আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেননি।

অন্যদিকে – যারা দেশকে রাতারাতি ‘যুক্তরাষ্ট্র’ বানিয়ে ফেলার নামে সরকার পতন ঘটিয়েছে, সেই তারা তাদেরই পক্ষের মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে পদবাণিজ্য করেছে, চাঁদা তুলেছে, ব্যাংক ব্যালেন্স মোটা করেছে।

এতেই বোঝা যায় মেরুদণ্ড কার শক্ত।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র, অনন্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

সাকিব আল হাসানের নাম ইতিহাসের এমন এক বিশেষ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে সেখান থেকে নামটি মুছে ফেলা বাংলাদেশের কারোর দ্বারা অসম্ভব।

আর তাঁকেই কখনো জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। চাঁদাবাজিতে যার নাম জড়িত।

সোমবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) নির্দেশ দেওয়া হবে যেন সাকিব আল হাসানকে জাতীয় দলের হয়ে আর মাঠে নামতে না দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টানা বাকযুদ্ধের জেরে এই ঘোষণাই যেন সাকিবের ক্রিকেট অধ্যায়ে এক নতুন নাটকীয় মোড়।

আসিফ ফেসবুকে লেখেন, সাকিবকে ‘পুনর্বাসন’ না করার সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। অপরদিকে সাকিব অভিযোগ তোলেন, আসিফই তাকে জাতীয় জার্সি গায়ে তোলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন।

আসিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের পতাকা বহনের যোগ্যতা তিনি হারিয়েছেন। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার মতো অনুমতি তার নেই… সাকিব আল হাসান আর কোনোদিন বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন না।’

এখানেই থেমে থাকেননি আসিফ। তিনি অভিযোগ করেন, সাকিব আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

যদিও সাকিবের দাবি, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল কেবল মাগুরার মানুষের সেবা করা।

১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাকিব বিদেশে অবস্থান করছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে তিনি আর দেশে ফেরেননি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *