ঢাকা: ৫ আগস্ট পরবর্তী অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে মুহাম্মদ ইউনূস। এবং তারপর ১০/১১ মাসে বাংলাদেশকে দরিদ্র, নীতিহীন দেশে পরিণত করে ছেড়ে দিয়েছেন এই নোবেলজয়ী।
৫ আগস্টের পর দেশের সব জেলখানা থেকে সমস্ত শীর্ষে সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেওয়া হল।
এখন আবার আদালতে বিচারিক প্রভাব বিস্তার করে যু’দ্ধপরাধের মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত একাত্তরের রাজাকারকে ছেড়ে দেওয়া হল। বাংলাদেশ এখন সব সম্ভবের দেশ হয়ে গেছে।
স্বাধীনতা-২ মানে কি তাহলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্ব শেষ …?
বিগত ১০ মাসে বিশ্বের কোনো সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেননি শেখ হাসিনা। এই প্রথম ‘যুগশঙ্খ’কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এবং নিজের দুঃখ, ক্ষোভের কথা মন খুলে বললেন।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাক্ষাৎকারে ভারতবর্ষের পত্রিকা ‘যুগশঙ্খ’ কে বলেছেন আসলে তিনি ভালো নেই।ভালো নেই আওয়ামী লীগের সদস্য, দেশবাসী। হাসিনা বলেছেন দেশে এখন ভালো আছে যারা রাজাকার, আলবদর তারা।
তিনি বলেন, ‘এক স্বৈরাচারী জঙ্গী জালেমের হাতে অস্থির বাংলাদেশ’।
মুহাম্মদ ইউনূস একজন ক্ষমতালোভী। ২০০৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য লালায়িত হয়ে ছিলেন। অস্ত্র দেখিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছেন। বলেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেননি হাসিনা। তাঁর পদত্যাগপত্র নেই। প্রধান বিচারপতির সই জাল করে ক্ষমতায় বসেছেন ইউনূস। সাক্ষাৎকারে বলেন শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ জঙ্গীবাদ দমন করেছিলো। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর তাঁর নিজের বিরুদ্ধে যত মামলা ছিলো, সব তুলে নিয়েছেন।
শুধু তাই না, শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গীদের উপর যত মামলা ছিলো, সব তুলে নিয়ে তাদের কারাগারের বাইরে মুক্ত করে দিয়েছেন।
ইউনূস যে ডিপস্টেটের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বলেন ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা।
ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বরাবরের মতো। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সাথে ছিলো, আছে এবং আগামিতেও থাকবে।
একাত্তরে ভারতের অবদান বাঙালি জাতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না। ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি। ভারতের এত অবদান ভুলবেন না তিনি, বলেন শেখ হাসিনা।
সনাতনী চিন্ময় প্রভুকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এর বিরোধিতা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, চিন্ময় প্রভুর বিপক্ষে মামলা ঘোরানোর জন্য ইউনূসের সমর্থকরা ষড়যন্ত্র করে এক আইনজীবীকে হত্যা করেছে। পরিষ্কার বলেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা একদম শোচনীয় করে তুলেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে হত্যা মামলা করা হলো।
পুলিশ হত্যা ও মেট্রোরেলে নিজেরা আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করলেও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আসামী বানানো হলো।
অথচ ইউনূস তার মেটিকুলাস ডিজাইন অনুসারে জামাত-শিবির ও হেফাজত চক্র এবং পাকিস্তানি জঙ্গীদের মাঠে নামিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মী থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল।
অন্যদিকে যে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা একাত্তরে গণহত্যার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, সেখানেই জামাতের আইনজীবী ও বিচারক দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারকাজ শুরু হলো।
এভাবেই গত ১০ মাসে মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার পোষা সন্ত্রাসীদেরকে পুনর্বাসন করেছে।