চট্টগ্রাম: এনবিআরের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার হয়েছে। তবে অচল হয়ে পড়েছিলো চট্টগ্রাম বন্দর।

এর রেশ চট্টগ্রাম বন্দরে রয়ে যাবে অনেকটা সময়। জাহাজজট, পণ্যের স্তূপ আর বিলম্বিত খালাসে এখনো ভুগতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছালেও জেটিতে ভিড়তে একটি গিয়ারলেস কনটেইনার জাহাজের বর্তমানে লেগে যাচ্ছে সাত-আটদিন।

এমনিতে ভালো পরিস্থিতিতে এটা তিনদিনেই সম্ভব হতো।

আর নির্ধারিত সময়ে জেটি ছাড়তে না পারায় বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যাও বেড়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, এনবিআরের কর্মসূচি প্রত্যাহার হলেও বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল বেড়ে যাওয়ায় খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের গড় আনলোডিং টাইম বেড়ে গিয়ে বার্থের দক্ষতা কমেছে। বন্দরে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে চার হাজারের বেশি কনটেইনার খালাস হয়।

কিন্তু গতকালও (রোববার) খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনারের স্তূপ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, কাস্টমস ও কর দপ্তরের কর্মীরা ধর্মঘটে কর্মবিরতি পালন করায় চট্টগ্রাম দেশের বৃহত্তম বন্দর কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে রপ্তানি ও আমদানী পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে।

আধিক্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব ফেলেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক সঙ্কেত সৃষ্টি করেছে ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *