ঢাকা: সার্কাস! কত রঙ্গ দেখবো এনসিপির! গোপনে কক্সবাজারে আমেরিকার সাবেক রাষ্টদূত পিটার হাসের সাথে বৈঠক, ১ দিন পর শোকজ, ১০ দিন পর শোকজ প্রত্যাহার, কি নাটক!
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কিছু চিহ্নিত মুখ, যাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দিন ঢাকায় না থেকে কক্সবাজারে চোরের মতো গমন এবং পরবর্তীতে কিছু চাপে শোকজ নাটক সাজানো!
এসব কিছুই এক বাটপারের নির্দেশে ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন না করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশারই অংশ। শোকজ করে দেখানো হলো আমারা দলকে কত ক্লিন রাখি, কোনো চোর বাটপারের জায়গা নেই!
এনসিপি পাঁচ নেতার শোকজের খবরে প্রথমেই মনে হয়েছে এটা অনেকটা খালেদা জিয়া তারেক রহমানকে চিঠি লিখে বলছেন, “আপনার কর্মকাণ্ড দলের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ব্যাখ্যা দিন।”
যার কাছে দায়িত্বই সব, তাকে দায়িত্ব নিয়ে কৈফিয়ত চাওয়া আসলে নাটক না, ব্যঙ্গচিত্র।
শোকজ করা আসলে দায়মুক্তির নাটক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতার শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহর প্রতি পৃথক পাঁচটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছিল।
ঐ নেতারা দপ্তর মারফত আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদান করেন।
শোকজের জবাব বিশ্লেষণে উপরোক্ত ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলার ব্যতায় না ঘটায় আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে উল্লেখিত শোকজ নোটিশগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে।