কক্সবাজার: কক্সবাজার মৃত্যু উপকূল হয়ে উঠেছে। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১৬ ঘণ্টায় ছয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানিয়েছেন, সদর থানা এলাকার মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
সেখানে তিনজন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় ব্যক্তি। আরেকজনের মরদেহ গলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে; ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারা যায়নি।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মারাত্মক গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়। এতে তিন পর্যটকসহ ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভিড় বাড়ছে , সাথে বাড়ছে ঝুঁকি।
নিহত মো. রাজিব চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার নজির আহমদের ছেলে। তিনি রবিবার বিকাল ৫টার দিকে সি-গাল পয়েন্টে স্নান করতে নেমে ভেসে যান।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে বাবা ও ছেলে একসঙ্গে স্নান করতে নেমে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার করা হয় সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্ট থেকে।
লাইফগার্ড কর্মীরা রাজশাহীর শাহীনুর রহমান (৬০) এবং ছেলে সিফাতকে (২০) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরেই সেখানকার চিকিৎসকরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢল নেমে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ‘গুপ্ত খালের’ তৈরি হয়। আর সেখানে পড়লেই বিপদে পড়ে যাচ্ছেন পর্যটকরা। মৃত্যুফাঁদ বলা যায় একে।