ঢাকা: জামাত নারী নেতৃত্ব হারাম বলে খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভায় গিয়েছিল, হেফাজত সুদ কে হারাম বলে সুদেল ইউনুসের উপদেষ্টা সভায় যোগ দিয়েছে। এই হচ্ছে নারী বিরোধী লেবাসধারীদের ধর্ম।

দেখা গেলো, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি (৬৭ টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফরম)।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে মনোনয়নের মাধ্যমে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি প্রত্যাখ্যান করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইস্যুতে নারী সমাজের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবি গুরুত্ব না দিয়ে প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এ রকম একটি পশ্চাৎপদ সিদ্ধান্তে কিভাবে একমত হলো সে বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গভীর বিস্ময় প্রকাশ করছে।

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে সমান অধিকার, সম-মর্যাদা এবং দায়িত্বের সঙ্গে ফলপ্রসূ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশের নারীরা এখন প্রস্তুত রয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসলে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও শক্তিশালী হবে, যা নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে আরও বিস্তৃত ও অর্থবহ করে তুলবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *