ঢাকা: বাক প্রতিবন্ধীকেও ছাড়লো না ইউনূসের পুলিশ। বাক প্রতিবন্ধী স্লোগান দেবে কীভাবে? অথচ সেই প্রতিবন্ধীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের পাশে ২৪ অগাস্ট ঝটিকা মিছিল করে আওয়ামী লীগ, যেখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অথচ মিছিলে না কাউকে মব করে মারা হয়েছে, আর না চাঁদাবাজি!

অথচ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনজনের মধ্যে সাইদ শেখও আছেন, যিনি একজন ‘বাকপ্রতিবন্ধী’।

ছেলেটার নাম সাইদ শেখ, একজন বাক প্রতিবন্ধী। বাসা নারায়ণগঞ্জ, বাবা-মা নেই, বৃদ্ধা নানীর সাথে থাকে। বঙ্গবন্ধুকে অসম্ভব ভালোবাসে। গুলিস্তানে মিছিল দেখা মাত্রই ছুটে গিয়েছিলো।

বাক প্রতিবন্ধী শহীদ’কে নির্মমভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ! একজন প্রতিবন্ধীও তাদের অন্যায় নিপীড়ন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না!

জয় বাংলা এখন রাজাকার ইউনূসের আমলে দেশবিরোধী স্লোগান হয়েছে। আর পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান তাদের কাছে বড় সাধের এখন।

পল্টন থানার ওই মামলায় বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পাশাপাশি বড় ধরনের ‘অঘটন’ ঘটাতে আসামিরা রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন এবং সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টাও করেন।

সাইদের আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, বাকপ্রতিবন্ধী কীভাবে স্লোগান দেবেন? তার ক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে, পুলিশের দাবি, নিষিদ্ধ দলের হয়ে সাইদ মিছিলের সামনে থেকে স্লোগান দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারের পর সাইদসহ তিনজনকে ২৫ অগাস্ট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই মাকসুদুল হাসান। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা সাইদকে বাকপ্রতিবন্ধী হিসেবে তুলে ধরেন।

ঢাকার মহানগর হাকিম জশিতা ইসলাম তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর দুইজন আসামি হলেন, রাজু আহমেদ ও শেখ মো. শাকিল।

সাইদের মা সুমি বলেন, “ও হাত দিয়ে নিজে ভাত খেতে পারে না। কোনো কাজ নিজে করতে পারে না। দৌঁড়াতে গেলে পড়ে যায়; কথাও ভালো বোঝা যায় না। ওর মত একটা প্রতিবন্ধী ছেলে জেলে আছে; টেনশন হচ্ছে। কীভাবে কী করতেছে! একদিন জেলেখানায় দেখা করতে গিয়ে শুনেছি, জেলখানায় কিছু খায়নি। আমরা পুরো পরিবার দুশ্চিন্তায় আছি। আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটার মুক্তি চাই।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *