ঢাকা: কিছুদিন আগে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের মৃত্যু বাংলাদেশে আইনের শাসন, প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার কতটা নীরব, সেই প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। কী মারাত্মক অবনতি দেশের!
বাংলাদেশের ইতিহাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু আজ তাঁদের গলায় জুতার মালা পরানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা আজ এক অবৈধ সরকারের হাতে চরম অসম্মানের শিকার হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, যিনি ছিলেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা, কারাগারে অমানবিক নির্যাতন ও চিকিৎসাবঞ্চনার ফলে মৃত্যুবরণ করেন। সামান্য ন্যায়বিচারটুকু করা হয়নি তাঁর প্রতি। আইন পুরোপুরি এখন অবৈধ ইউনূসের দখলে।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো ছিল এমনকি মৃত্যুর পরও মর্যাদার পরিবর্তে তাঁকে অপমানের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সবচেয়ে নিন্দনীয় বিষয় হলো তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কি একটা অবস্থা দেশজুড়ে চলছে!
জামাতি পুলিশ প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। সব জায়গায় ঢুকানো হচ্ছে জামাত শিবিরকে।
মাইকে জানাজার ঘোষণা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরিবারের প্রতি প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া হয়—যদি ১০০ জনের বেশি মানুষ অংশ নেন, তবে পরিবার ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়বে। এই অমানবিক নির্দেশ নরসিংদীর এসপি, ডিসি ও ইউএনওর পক্ষ থেকে এসেছে।
ধিক্কার এই সরকারকে, যে সরকার মৃত্যুর পরও একজন মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দিতে পারেনা।