চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর ভুয়া মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারি চলছে।
সারা দেশে কারাগার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার।
গত এক বছরে প্রায় ২৬ জন নেতাকর্মী কারাগারে, পুলিশি হেফাজতে বা অভিযানকালে প্রাণ হারিয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দেশটাকে শ্মশান বানিয়ে ফেলেছেন ইউনূস।
১৫ জুন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন কারাবন্দি অবস্থায় মারা গিয়েছেন।
এবার জুলাই আগস্টের ষড়যন্ত্রের পর প্রায় ১১ মাস পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে নতুন মামলা হয়েছে।
প্রতিদিন নতুন নতুন মামলা হচ্ছে।
এই মামলা করা হয়েছে ১৭ জুন। মামলা করেছে খুলশী থানায় সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ নামে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে শেখ হাসিনার নাম আছে। আরো কয়েকজন যাদের নাম রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি এম এ মোতালেব, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, আনিসুল হক, মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এ কে আজাদ, রেজাউল করিম চৌধুরী, সৈয়দ সামাদুল হক, আব্দুস ছবুর লিটন ও মোবারক আলী।
আরো যাদের নাম আছে মো. মুজাহিদুল আলম, ফারাজ করিম চৌধুরী, শৈবাল দাশ সুমন, মোহাম্মদ ইদ্রিস আল ফায়েদ, সুবীর চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, সাইফুল্লা আনসারি প্রমুখ।
সে নাকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিয়মিত সক্রিয় অংশগ্রহণ করায় ১৫ জুলাই রাজু ভাস্কর্য এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছিলো!
যেহেতু দেশে অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আছে, তাই আওয়ামী লীগ, সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছে ক্রমাগতভাবে।
রাজনীতি করার অপরাধে আওয়ামী স্বজনদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে এবং হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা মারা যাচ্ছেন কারাগারে। এমন মৃত্যুকে আওয়ামী লীগ নেতারা দমন-পীড়নের ফল হিসেবে দেখছেন এবং এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।