গোপালগঞ্জ: মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ধ্বংসের মুখে। কোনোদিকেই অন্তর্বর্তী সরকারের ভ্রূক্ষেপ নেই।ভ্রূক্ষেপ শুধু ক্ষমতার দিকে।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
শিক্ষক সংকট, ক্লাস রুম এবং ল্যাব সংকট ইত্যাদিসহ আরো সংকট সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সমানে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।
মিছিলে ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যমের ঠাই নাই’, ‘ভিসি বাংলো ভেতরে, শিক্ষার্থীরা কেন বাহিরে’, ‘এক দুই তিন, আর কত দিন’, ‘একাডেমিক ভবন কই, প্রশাসন জবাই চাই’ সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্যের কাছে প্রদান করে।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে গোবিপ্রবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী তোহা।
মোহাম্মদ আলী তোহা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে রয়েছে।
যে সরকার বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জায়গাকে সমান নজরে দেখার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু এই সময় যদি বিশ্ববিদ্যালয় এত অবহেলা বা বৈষম্যের শিকার হয় তাহলে পরবর্তীতে অবস্থা আরো কতটা ভয়াবহ হবে।
তিনি বলেন, এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অত্যন্ত নিম্নমুখী বাজেট হয়েছে। বিগত বছরের বাজেটগুলো কিকি খাতে খরচ হয়েছে তার আমরা জানি না।
এসব সংকট ও বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য ৭দিন সময় দেয়া হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হলো।
৭ দিনের মধ্যে কোন অগ্রগতি না হলে কঠোর আন্দোলন যেতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থী। হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
৫ দফা দাবী বাস্তবায়ন না হলে এক সপ্তাহ পর কঠোর আন্দোলনে যাবে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।