রাজশাহী: বাংলাদেশে মাসে ত্রিশ দিন আন্দোলন লেগে আছে। কিন্তু এইসব দিকে নজর দেয়ার সময় নেই মুহাম্মদ ইউনূসের।
জুলাই আন্দোলনে ছিলো এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
কিন্তু এখন ক্ষমতায় বসে সব ভুলে লালসায় পড়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের ৯ দফা দাবি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা “March For Our Rights” কর্মসূচি করে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংস্কারের নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নয় দফা দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তবে প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে এবার তারা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মেডিক্যাল সেন্টারকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল হিসেবে কার্যকর করাসহ নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘রাবি সংস্কার আন্দোলন’।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় ‘মার্চ ফর আওয়ার রাইটস’ শীর্ষক এই কর্মসূচির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে একত্র হন শিক্ষার্থীরা।
এরপর সাড় ১০টায় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘গড়িমসি বন্ধ কর, ৯ দফা পূরণ কর’, ‘জুলাইয়ের অঙ্গীকার, দাবি মোদের সংস্কার’, ‘আমাদের দবি, মানতে হবে মানতে হবে’ ও ‘সিন্ডিকেট না রাকসু, রাকসু রাকসু’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘MARCH FOR OUR RIGHTS’ শিরোনামে আন্দোলনে নামেন।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৯ দফা দাবি হলো:
১. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
২. ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৩. পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল হিসেবে কার্যকর করতে হবে।
৫. প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করতে হবে।
৬. কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার করতে হবে।
৭. হল ডাইনিং-এ মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান করতে হবে।
৮. পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি (TSCC) দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
৯. রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল অনতিবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে।
রাবি সংস্থার আন্দোলনের মুখপাত্র সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “আমাদের এই ৯ দফা কোনো বিলাসিতা নয়, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা।
বছরের পর বছর আমরা অবহেলিত থেকেছি, এবার আর নয়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তানিয়া আনজুম বলেন, “এই আন্দোলন কারও বিরুদ্ধে নয়, এটি আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
আমরা চাই একটি নিরাপদ, আধুনিক, ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস। এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা কর্মসূচি আরও জোরদার করব।”
তবে তাদের ৪টি দাবি বাস্তবায়নের তারিখ পাওয়া গেছে।
তবে দাবিগুলো মৌখিকভাবে আদায় হয়েছে। তাঁরা চান লিখিত রোডম্যাপ।
আন্দোলন এখন স্থগিত হলেও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন— “যতদিন না আমরা আমাদের লিখিত রোডম্যাপ হাতে পাই, ততদিন নজরদারিতে থাকবে প্রশাসনের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি।”