ঢাকা: বাংলাদেশ কী মৌলবাদী হতে আর বাকি আছে? মৌলবাদী না হলে নাকি হিন্দুদের এত বিপর্যয়, হেনস্থা? দেশবিরোধী চক্র জেগে উঠেছে আবার।
বিএনপি, জামাত, এনসিপির চাইতে বড় মৌলবাদী আর কে আছে? হাজার হাজার মানুষ তারা খুন করছে।
বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদীরা একের পর এক মুক্তচিন্তক, ব্লগার হত্যা করেছে, দেশছাড়া করেছে! এগুলো কী আজ থেকে? দেশ তো মৌলবাদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
তারেক রহমান যাদের অভয়ারণ্য এই দেশে হতে দিতে চাইছেন না এই দেশ তাদের অভয়ারণ্য অনেক আগেই হয়ে গেছে। রসাতলে গেছে দেশ।
বাংলাদেশ যেন কখনো চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়, সেই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই কথা ব্যক্ত করেন।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আয়োজনে কবিতা পরিষদের কবি ও সাহিত্যিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়। এ সময় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কিছু দাবিনামাও তুলে ধরা হয়।কবি-সাহিত্যিকরাও তাদের লেখার স্বাধীনতার কথা বলেন।
কবি-সাহিত্যিকদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের প্রতি আপনাদের দৃঢ় অবস্থানের সঙ্গে আমাদের বিন্দুমাত্র পার্থক্য নেই।
স্বৈরাচারকে বাংলাদেশের মানুষ কিছুদিন আগে বিতাড়িত করেছেন, সেই স্বৈরাচারের পুনর্জাগরণ প্রতিহত করতে আমরাও আপনাদের মতো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের সঙ্গে হয়ত আপনাদের রাজনৈতিক দর্শন এক না-ও হতে পারে। কিন্তু এটি কোনো সমস্যার বিষয় না।
এটিকে কেউ দয়া করে সমস্যা হিসেবে দেখবেন না। বিষয় হচ্ছে যে এই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশের জায়গায় সবাই এক।’
তিনি বলেন, ‘কবি-সাহিত্যিকদের কাছে মানব সভ্যতা বিভিন্নভাবে-বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণী। তারা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশের একটি মাধ্যম। আমাদের সুখ-দুঃখ, আন্দোলন-উচ্ছ্বাস প্রতিচ্ছবিও কবি-সাহিত্যিকরা।
আমাদের অনেক না বলা কথা অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারেন। সে কারণেই আপনারা অসাধারণ, আমরা সাধারণ। যুগে যুগে নির্ভীক চিত্তে কবি সাহিত্যিকরা মুক্তির কথা বলেছেন।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে কবিতা আর দেশাত্মবোধক সংগীত ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস।
স্বাধীনতার পরেও দেশের সব ক্রান্তিলগ্নে কবি-সাহিত্যিকরা আমাদের সচেতন করেছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই দেশে চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্যে যেন কোনো দিন পরিণত হতে না পারে, সেটি আমাদের প্রত্যাশা।’