ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বিবিসি বাংলা সাক্ষাৎকারটি সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বোপরি বাংলাদেশকে নিয়ে তারেক রহমানের অযৌক্তিক, অসংলগ্ন, ভিত্তিহীন ও মনগড়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এবং বিবৃতি দিয়েছে।
লিখেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করেছে যে, লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যে মন্তব্য করেছে তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট, অসহনশীলতাকে উসকে দেওয়া ও সুস্থ গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়াকে আরও জোরালো করবে।
তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই।
তাতে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের কোনো সম্ভাবনা নেই। আছে জনকল্যাণমুখী রাজনীতি ব্যতিরেকে লুটপাট তন্ত্রের যে নীতিতে বিগত দিনে তাদের রাজনীতি পরিচালিত হয়েছে সেটাকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা।
তারেক রহমান হত্যা, লুটপাট, দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত। এমন নেতা নিশ্চয়ই দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারে না, বরং জনগণের ন্যায্য হিস্যা কেড়ে নেয়।
সরাসরি রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসলেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি নেতাকর্মীরা যে পরিমান খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করেছে, সেটাই তার প্রমাণ এবং বিএনপি বোধহয় পৃথিবীতে আত্মস্বীকৃত সর্বাধিক চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সন্ত্রাসীদের দল। আর তারেক রহমান তাদের নেতা।
তারেক রহমানের প্রধান কাজ এসব চাঁদাবাজ, দখলবাজ সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেওয়া ও লালন-পালন করা। তাই তার কোনো কথাই জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনীতি নিয়ে তারেক রহমানের মন্তব্য করার কোনো নৈতিক অধিকারই নেই।
