পিরোজপুর: হাতে পায়ে শেকল বেঁধে ধর্ম চর্চা করানো হচ্ছে মাদ্রাসায়! প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে। ধর্মের কল তো বাতাসে নড়ে।
মাদ্রাসাগুলোতে এইভাবে শিশুদের অমানুষিক অত্যাচার করা হচ্ছে। তবুও চুপ অভিভাবকরা।
এবার পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ধাওয়া ইউনিয়নের একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
ছোট্ট বাচ্চাটির পায়ে শেকল বাঁধা ছিলো। জোরজবরদস্তি তাকে মাদ্রাসায় পাঠদান করানোর জন্য এই কৌশল নেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ধাওয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসা থেকে নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিককে (৬) পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ওসমান মল্লিক দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। কিসের কারণে পালিয়ে গিয়েছে, তার সাথে কি কোনো অশ্লীল কর্ম করা হয়েছে, কিংবা অন্য কিছু সেসব কিছু জানা যায়নি।
পালিয়ে গেছে এই অভিযোগে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশুটির পায়ে তালাসহ শিকল বেঁধে পড়ানো শুরু করে। এতে শিশুটি খুব কষ্টে ছিলো।
এই খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার খবর পেয়ে ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তারপর শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিশু ওসমান মল্লিক ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছে।
